Kerala floods 2018: বানভাসি কেরালার পাশে দাঁড়াল লালবাজার। কেরালা পুলিশের অনুরোধে এবার বন্য়াবিধ্বস্ত দক্ষিণের ওই রাজ্য়ের পুলিশকর্মীদের সাহায্য়ের জন্য় হাত বাড়াল কলকাতা পুলিশ। কেরালা পুলিশকর্মীদের জন্য় ইতিমধ্য়েই গামবুট পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ। এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে অতিরিক্ত নগরপাল(৪) জয়রামন জানান, ''কেরালা পুলিশের তরফে আমাদের অনুরোধ করা হয় সাহায্যের জন্য়। ওঁদের কিছু গামবুট ও গ্লাভস লাগবে, একথা আমাদের জানান ওঁরা। সেজন্য় আমরা গামবুট ইতিমধ্য়েই পাঠিয়েছি। গ্লাভস এই মুহূর্তে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই। ওগুলো সংগ্রহ করে আমরা পাঠাব।'' অন্য়দিকে,খ্রিস্টান মিশনারিজের প্রতিনিধিসহ প্রায় ১৫ জন এদিন লালবাজারে আসেন। এঁরা কলকাতা পুলিশের মাধ্য়মে কেরালাবাসীর জন্য় ত্রাণ সামগ্রী পাঠাতে চান। সেই ত্রাণ সামগ্রীও কেরালায় পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে গতকাল রেড অ্যালার্ট প্রত্যাহার হওয়ায় পর আবারও আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন কেরালাবাসী। বন্যা বিধ্বস্ত কেরালার জন্য এদিন আরও স্বস্তি দিল আবহাওয়া দফতর। রাজ্যের বানভাসি এলাকায় নতুন করে আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র কেরালার কোঝিকোড়, কান্নুর, ইদুক্কি জেলায় আগামী চার দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। তবে ভয়াবহ বন্যায় দক্ষিণের ওই রাজ্যের যেসব এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে বৃষ্টির পরিমাণ ক্রমশ কমবে বলেই মত আবহবিদদের। বৃষ্টির জেরে কেরালায় দুর্গতদের উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়েছিল। এদিনের আবহাওয়া দফতরের সেই পূর্বাভাস অনেকটাই স্বস্তি দিল বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে ভয়াল বন্যা পরিস্থিতি থেকে কেরালা যখন ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তৈরি হচ্ছে, তখন দক্ষিণের অন্য দুই রাজ্য কর্নাটক ও তামিল নাড়ুতে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, বানভাসি কেরালার মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াবেন কেমন ভাবে?
এ যুগের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় কেরালায় মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। প্রায় ৯ লক্ষ মানুষ এই মুহূর্তে আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণ শিবিরে। দুর্গতদের ত্রাণের সবরকম ব্যবস্থা করছে সরকার। বন্যার জেরে যেসব বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা মেরামতির কাজে এবার জোর দেওয়া হচ্ছে। ভয়াল বন্যা পরিস্থিতি থেকে রাজ্যকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানোই এখন প্রধান লক্ষ্য বলে রবিবার জানিয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
More evidence of flattened walls, slushy houses and shops & broken cars in Aluva. The real work of restoring normalcy begins now. #keralafloods @IndianExpress pic.twitter.com/spdkQFnGDS
— Vishnu Varma (@VishKVarma) August 20, 2018
গত কয়েকদিন দুর্দশার ছবি ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করেছে কেরালায়। এদিন তিরুবনন্তপুরম ও এরনাকুলামের মধ্যে ট্রেন পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। প্রায় ১৮ বছর পর এদিন কোচিতে ভারতীয় নৌঘাঁটি আইএনএস গরুড় থেকে যাত্রীবাহী বিমান ওঠানামা করল। এখানে সাধারণত ভিভিআইপিদের বিমান ওঠানামা করে থাকে। বন্যার জেরে কোচি বিমানবন্দর বানভাসি হওয়ায় এদিন নৌঘাঁটি থেকে বিমান ওঠানামা করল।
ইতিমধ্যেই বন্যায় কেরালায় অনেক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে যেমন কেরালাকে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে, তেমনই কেরালার পাশে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গসহ বেশ কয়েকটি রাজ্য।