আরব আমিরশাহী থেকে কেরালায় সোনা পাচার সম্পর্কে জানতেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন ও তাঁর তিন মন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে অবগত ছিলেন কেরালা বিধানসভার স্পিকারও। শুক্রবার কেরালা হাইকোর্টে শুল্ক দফতর একথা জানায়। যদিও, এই মালার তদন্তে থাকা অন্য সংস্থা এনআইএ জানিয়েছে, তাদের হাতে এখনও এরকম কোনও প্রমাণ আসেনি। শুল্ক দফতরের পাশাপাশি বেআইনি কার্যকলাপ আইনে আমিরশাহী থেকে কেরালায় সোনা পাচারের তদন্ত করছে এনআইএ।
সূত্র জানাচ্ছে, গত অক্টোবরে এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। তাঁকে দীর্ঘ জিজ়্াসাবাদ করা হয়। এনআইএ-র এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, 'আমাদের তদন্তে এমন কোনও বিষয় উঠে আসেনি। স্বরৃপ্না সুরেশ আমাদের এব্যাপারে কিছু বলেননি। তবে, অন্যকোনও তদন্তকারী সংস্থাকে কী জানিয়েছি তা বলতে পারব না।'
এই মামলায় জানুয়ারিতে যে চার্জশিট এনআইএ জমা করেছে তাতে আইএএস আধিকারিক এম শিবশঙ্করের নামের উল্লেখ ছিল না। তাঁকে গত সেপ্টেম্বরে এনআইএ জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর প্রায় এক মাস পর সোনা পাচার মামলায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করে ইডি। শিবশঙ্কর অনুমোদিত বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের বিষয়ও তদন্ত শুরু হয়। আইএএস আধিকারিক এম শিবশঙ্করের বিরুদ্ধেও তাদের হাতে উপযুক্ত প্রমাণ ছিল না বলে দাবি এনআইএ গোয়েন্দাদের।
শুক্রবার কেরালা হাইকোর্টে শুল্ক দফতর জানিয়েছে, আরব আমিরশাহির বাণিজ্য দূতাবাসের মাধ্যমে তিরুবনন্তপুরমে সোনা পাচারের গতিবিধি সম্পর্কে জানতেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। বিজয়ন ওনার তিন মন্ত্রী আর বিধানসভার স্পিকার এর নাম কার্যত জড়িয়ে গিয়েছে এই গোল্ড স্ক্যামের সঙ্গে। সোনা পাচারকারীকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই জানতে পেরেছে বলে জানিয়েছে কাস্টমস বিভাগ।
Read In English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন