কেরালা বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাবের কোনও সাংবিধানিক বৈধতাই নেই। বৃহস্পতিবার এমন দাবিই করলেন সে রাজ্যের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। এ প্রসঙ্গে কেরালার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান বলেন, ‘‘এই প্রস্তাবের কোনও আইনি ও সাংবিধানিক বৈধতা নেই। কারণ নাগরিকত্ব কেন্দ্রের বিষয়’’।
প্রসঙ্গত, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার কার্যত নজিরবিহীনভাবে প্রস্তাবনা পাস হয় কেরালা বিধানসভায়। প্রস্তাবনার পক্ষে ভোট দেন শাসক এলডিএফ ও বিরোধী ইউডিএফ। কেরালা বিধানসভায় রয়েছেন মাত্র একজন বিজেপি বিধায়ক। একমাত্র তিনিই প্রস্তাবনার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ‘বৈষম্যমূলক’ ও ‘সংবিধানের ধর্ম নিরপেক্ষ’ ধারার বিরুদ্ধে বলে দাবি করেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের প্রস্তাব মেনেই বাম সরকার কেরালা বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: সিএএ প্রত্যাখ্যানকারী রাজ্যগুলি আরও ভাল করে আইনি পরামর্শ নিক: রবিশঙ্কর প্রসাদ
src="https://www.youtube.com/embed/-GnxHjvH4vU" width="100%" height="415" frameborder="0" allowfullscreen="allowfullscreen">
আরও পড়ুন: ক্যাব পেশের আগে বিশেষ বৈঠকে বসেছিল মোদী সরকার, চাঞ্চল্যকর খবর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের হাতে
বিধানসভার বিতর্ক ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজায়ন বলেন, ‘‘সিএএ ভারতীয় সংবিধানের মূল্যবোধ ও মূলনীতির পরিপন্থী। নয়া আইন দেশবাসীর মধ্যে ভীতির সঞ্চার করেছে। যা বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ওই আইন প্রত্যাহার করা’’। তিনি আরও বলেন, ‘‘ সিএএ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের মাথা হেঁট করে দিচ্ছে’’। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও একবার স্পষ্ট করে জানিয়েছে দেন কেরালায় কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করা হবে না।
এদিকে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু করবে না বলে সরব হয়েছে বেশ কয়েকটি রাজ্য। এই প্রেক্ষিতে বুধবার সিএএ বিরোধী রাজ্যগুলিকে তাদের ‘সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা’র কথা মনে করান কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শপথ গ্রহণ করে যাঁরা সংবিধান রক্ষা করার দায়িত্ব নিয়েছেন, তাঁরাই এখন ‘অসাংবিধানিক’ বিবৃতি দিচ্ছেন।
Read the full story in English