সিঙ্গলবেঞ্চে হারের পর কোভিড ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট থেকে প্রধানমন্ত্রীর ছবি তুলে দেওয়ার ব্যাপারে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন আরটিআই অ্যাক্টিভিস্ট পিটার মিয়ালিপারামফিল। মঙ্গলবার সেই আবেদন খারিজ কেরল কেরল হাইকোর্ট।
মামলাকারী পিটার মিয়ালিপারামফিলের যুক্তি ছিল যে, সরকারি অর্থে টিকা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে কেন কোনও ব্যক্তির ছবি থাকবে? কারণ ওই ব্যক্তি একটি রাজনৈতিক দলেরও সদস্য। ফলে এই ধরনের ছবি ভোটদানের ক্ষেত্রেও প্রভাবিত করে। ভ্যাকসিনে প্রধানমন্ত্রী ছবি দেওয়ায় তাঁর মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন মামলাকারী।
তবে, আদালতে মামলাকারী মিয়ালিপারামফিলের আবেদন ধোপে টেঁকেনি। আবেদন খারিজ করে কেরল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এস মণিকুমার ও বিচারপতি শাজি পি চালির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, 'প্রধানমন্ত্রীর বার্তা দেওয়ার অধিকার রয়েছে। ভোটের অধিকারের সঙ্গে এই বিষয়টিকে যুক্ত করা যাবে না।' আদালত মনে করেছে যে, বেশিরভাগ দেশবাসীর রায়েই কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন। একবার যখন তিনি ওই আসনে বসেনছেন তখন তাঁর দলীয় পরিচয়ের চেয়েও দেশের প্রধানমন্ত্রী বিষয়টিই প্রাধান্য পাবে।
এর আগে, কেরল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে বিচারপতি পিভি কুনহিকৃষ্ণন পর্যবেক্ষণ বলেছিলেন যে 'ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান করা নাগরিকদের কর্তব্য। কোনও দেশবাসীর সরকারের নীতি বা প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে ভিন্ন মত থাকতে পারে। কেউ বলতেই পারেন যে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার যা করছে তা নাগরিকদের কল্যাণের জন্য নয়। তবে নাগরিকদের মনোবল বাড়ানোর বার্তা সহ প্রধানমন্ত্রীর ছবি করোনা টিকা শংসাপত্র দেওয়ায় লজ্জার কিছু নেই, বিশেষত এই মহামারী পরিস্থিতিতে। এতে মোলিক অধিকার খর্বেরও কোনও কারণ নেই।'
Read in English