কৈশোরেই গর্ভবতী হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে দেশে। তার কারণ, অনলাইনে যথেচ্ছ ভাবে পর্নোগ্রাফির ছড়াছড়ি। অনলাইনে এই যৌনদৃশ্য দেখে অল্পবয়সীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। যার ফলে কৈশোরেই গর্ভাবতী হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে অল্পবয়সীদের মধ্যে। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল কেরল হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এই মর্মে বিশেষ পরামর্শও দিয়েছে আদালত।
আদালত কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে, স্কুলে স্কুলে যৌনশিক্ষার হাল কী, তা যেন খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যেই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার মানসিকতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যা বেশ চিন্তার। বিচারপতি ভি জি অরুণ এদিন এই পর্যবেক্ষণ দেন। তার আগে তিনি ১৩ বছরের এক কিশোরী যে কি না ৩০ সপ্তাহের গর্ভবতী, তাকে গর্ভপাতের অনুমতি দেন। ওই কিশোরীকে অন্তঃসত্ত্বা করেছে তারই নিজের ভাই। সেও নাবালক।
এদিন রায়দানের আগে বিচারপতি বলেন, আমি উদ্বেগের সঙ্গে জানাতে বাধ্য হচ্ছি যে, দেশে শিশু-অন্তঃসত্ত্বার ঘটনা বাড়ছে। কিছুক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রাই দায়ী। আমার মতে, এটাই সঠিক সময় কর্তৃপক্ষ স্কুলে স্কুলে যৌনশিক্ষা দেওয়ার কী হাল তা খতিয়ে দেখুক। নাহলে এই ঘটনা বাড়বে। অনলাইনে পর্নোগ্রাফির ছড়াছড়ি শিশুমনে কুপ্রভাব ফেলছে। ভুল শিক্ষা দিচ্ছে। শিশুদের যৌনশিক্ষা এবং ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার নিয়ে সচেতন করতে হবে।
আরও পড়ুন আর নিশ্চিন্তে থাকা যাচ্ছে না, আরও এক মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের হদিশ দেশের এই রাজ্যে
এই ঘটনায় নির্যাতিতা একজন ধর্ষিতা। তাঁর নিজের মায়ের পেটের নাবালক ভাই এই ঘটনায় জড়িত। গর্ভপাতের অনুমতি দিয়ে আদালত জানায়, যত দেরি হবে এতে নির্যাতিতার অন্দরের যন্ত্রণা বাড়বে এবং গর্ভস্থ শিশুর জন্মের পর তাকে পরিত্যাগের সম্ভাবনাও বাড়বে। সরকারি হাসপাতালেই গর্ভপাতের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। হাসপাতালের সুপার একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে পুরো বিষয়টি নজরে রাখবেন। নির্যাতিতার মা এই ঝুঁকির অস্ত্রোপচার নিয়ে কর্তৃপক্ষকে অনুমতি দেবেন।