কেরলের বামপন্থী মন্ত্রী সাজি রবিবার বিশপদের সমালোচনা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, গত সপ্তাহে বড়দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন ওই বিশপ। বৈঠকের সময় ওয়াইন এবং কেক উপভোগ করেছেন, কিন্তু মণিপুর হিংসা নিয়ে কোনও কথা বলেননি।
গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী মোদী খ্রিস্টান যাজকদের সঙ্গে, প্রধানত বিশপদের সাথে ক্রিসমাসে মতবিনিময় করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে কেরলের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি সহ এই বিশপদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মোদী জানিয়েছিলেন যে, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক, "খুব পুরনো, খুব ঘনিষ্ঠ এবং খুবই উষ্ণ।'
বিজেপি কেরল ইউনিট আগামী লোকসভা নির্বাচনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের কাছে পেতে স্নেহা যাত্রার অংশ হিসাবে খ্রিস্টান বাড়িগুলি পরিদর্শন করেছিল।
রবিবার আলাপ্পুঝায় সিপিআই(এম)-এর এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে, চেরিয়ান বলেছিলেন, 'কিছু বিশপ যখন বিজেপি থেকে আমন্ত্রণ পান তখন তাঁদের বিশেষ উত্তেজনা থাকে। যাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁদের মণিপুর নিয়ে কথা বলার মতো সাহস ছিল না। যখন তাঁরা বিজেপির দেওয়া আঙ্গুরের ওয়াইন এবং কেক গ্রহণ করেন, তখন বিশপরা মণিপুর (হিংসা) ভুলে গিয়েছিলেন। মণিপুর তাদের (বিশপদের) জন্য মোটেও আলোচনার বিষয় ছিল না।'
সোমবার, কেরল ক্যাথলিক বিশপস কাউন্সিল, মন্ত্রিসভায় মৎস্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক দফতরের মন্ত্রী চেরিয়ানের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে। কাউন্সিলের সেক্রেটারি জ্যাকব প্যালাকাপ্যালি জানতে চান একজন মন্ত্রী কীভাবে এ ধরণের অপ্রীতিকর মন্তব্য করতে পারেন? তাঁর কথায়, 'মন্ত্রীর সমালোচনা করার অধিকার আছে। কিন্তু মন্ত্রীর উচিত ছিল আরও শালীন শব্দ ও ভাষা ব্যবহার করা। মন্ত্রীর চিন্তা করা উচিত ছিল যে বিশপরা কী সত্যিই সুরা পানের সময় উত্তেজিত হয়ে পড়েন।'
সম্প্রতি, কেসিবিসি সিপিআই(এম) সমর্থিত বিধায়ক কে টি জলিলের ক্রিসমাস উদযাপনের সমালোচনা করেছিলেন, সেই সময় বিজেপি এবং ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ সহ বিভিন্ন দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বড়দিনের অনুষ্ঠানে আইইউএমএল রাজ্যের সভাপতি পানাক্কাদ সাইয়্যেদ সাদিক আলী শিহাব থাঙ্গাল এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রনের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে জলিল বলেছিলেন, 'আমরা মণিপুরে খ্রিস্টানদের প্রতি বিজেপির ভালবাসা দেখেছি। কত গির্জা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে? থাঙ্গাল যদি অযোধ্যা মন্দিরের পবিত্রতার জন্য আমন্ত্রণ পান, সন্দেহ নেই যে তিনি তা গ্রহণ করবেন এবং অনুষ্ঠানের আগের দিন সেখানে পৌঁছে যাবেন।'
কেসিবিসি জলিলের ফেসবুক পোস্টের সমালোচনা করে তা ব্যতিক্রম বলে জানিয়েছিল। দাবি করা হয়, 'জলিলের কথা রাষ্ট্র, সমাজের অপমান। কোন অনুষ্ঠানে কাকে আমন্ত্রণ করা হবে সেটা সংশ্লিষ্ট চার্চের উপর নির্ভর করে। ক্রিসমাসে থাঙ্গালের অংশগ্রহণকে এরকম বিকৃতভাবে দেখানো উচিত হয়নি।'