সংবিধানের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়লেন কেরলের মন্ত্রী সাজি চেরিয়ান। কেরলের এই মৎস্য এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন যে সংবিধান শোষণকে প্রশ্রয় দেয়। এমনভাবে সংবিধান লেখা হয়েছে যেন দেশের মানুষকে লুট করা যায়। ব্যস্! আর যায় কোথায়? শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক।
ঠিক কী বলেছেন চেরিয়ান? সম্প্রতি পাথানামথিট্টার মাল্লাপ্পল্লিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চেরিয়ান বলেন, 'মানবজাতির শুরু থেকেই শোষণ চলছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ধনীরা বিশ্বজয় করছে। এটা খুবই স্বাভাবিক যে সরকারি যন্ত্র এই প্রক্রিয়ার মেনেই চলবে। অথচ, আমরা সবাই বলব যে আমাদের একটা সুন্দর লিখিত সংবিধান আছে। কিন্তু, আমি বলব যে দেশের সংবিধান এমনভাবে লেখা হয়েছে যাতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষকে লুট করা যায়।'
মঙ্গলবার চেরিয়ানের এসব কথা সংবাদমাধ্যম বারবার দেখিয়েছে। আর, তাতেই বেড়েছে গুঞ্জন। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে, একজন মন্ত্রী হয়ে তিনি কীভাবে এই কথা বললেন? সংবিধানের জোরেই তো তিনি মন্ত্রী। সেই তিনি কি এসব আদৌ বলতে পারেন? তবে, এটুকুই শুধু না। কেরলের মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের বাকি অংশেও যা বলেছেন, সেটাও যথেষ্ট বিতর্কিত। তিনি বলেন, 'ব্রিটিশরা যা বানিয়েছে, ভারতীয়রা সেটাই লিখে রেখেছেন। ৭৫ বছর ধরে বাস্তবায়নের পর আমি বলব যে এটি দেশের মানুষকে লুঠ করার জন্য একটি সুন্দর সংবিধান। যদিও সংবিধানে গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতার মতো কিছু ভালো জিনিসের চিহ্ন রয়েছে। তবে, আমি বলব যে সেটারও লক্ষ্য সাধারণ মানুষকে শোষণ করাই।'
আরও পড়ুন- বন্দিদের জন্য সুখবর! ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উপলক্ষে বিশেষ মুক্তির পরিকল্পনা সরকারের
এটুকু বলেই থামেননি কেরলের ওই মন্ত্রী। বিতর্ক ছড়িয়ে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যাও তিনি করেছেন। চেরিয়ান বলেন, 'ভারত এমন একটা দেশ যেখানে শ্রমিক আন্দোলনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। এর কারণ হল সংবিধান। যা শ্রমিকদের শোষণকে স্বীকার করে নিয়েছে।' দেশে আদানি এবং অম্বানিদের ফুলে-ফেঁপে ওঠার দিকে ইঙ্গিত করে চেরিয়ান বোঝানোর চেষ্টা করেন যে কীভাবে এই শিল্পপতিরা সংবিধানের মাধ্যমে 'সুরক্ষিত'। 'আমরা ক'জন তাঁদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারি?' প্রশ্ন তুলে কার্যত যেন নিজের দল সিপিএমকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন এই বিতর্কিত মন্ত্রী।
Read full story in English