Advertisment

পরীক্ষার আগেই অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হল, মহিলা পরীক্ষার্থীর অভিযোগে হুলস্থূল

পরীক্ষা দিতে গিয়ে রীতিমতো মুষড়ে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। অনেকেই চোখের জল ফেলতে ফেলতে বাড়ি গিয়েছেন বলে অভিযোগকারী পরীক্ষার্থী পুলিশকে জানিয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
exam_hall

প্রতীকী ছবি

পরীক্ষা হলে ঢোকার আগে তাঁকে অন্তর্বাস খুলতে বলা হয়েছে। এমনই অভিযোগ করলেন কেরলের এক ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্টান্স টেস্ট (নিট) পরীক্ষার্থী। ১৭ জুলাই তিনি পরীক্ষা দিয়েছেন। তার পরই পুলিশ কাছে এই অন্তর্বাস খোলা নিয়ে অভিযোগ করেছেন ওই পরীক্ষার্থী। কোল্লামের আয়ুরে মার থোমা ইনস্টিটিউট অফ ইনফর্মেশন অ্যান্ড টেকনোলজি শিক্ষাকেন্দ্রে সিট পড়েছিল বলে জানান ওই পরীক্ষার্থী।

Advertisment

সেখানেই তাঁকে অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে ওই পরীক্ষার্থীর অভিযোগ। এই পরীক্ষার জন্য ড্রেস কোড ঠিক করে দিয়েছিল জাতীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা। মেডিক্যালে ভর্তির জন্য সর্বভারতীয় পরীক্ষা জাতীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থাই নিয়ে থাকে। তারা কোথাও অন্তর্বাস খুলিয়ে পরীক্ষার্থীর তল্লাশি নেওয়ার কথা বলেনি। এমনটাই অভিযোগ ওই মহিলা পরীক্ষার্থীর।

ওই পরীক্ষার্থীর হয়ে কোল্লাম গ্রামীণ পুলিশের কাছে অভিযোগটি দায়ের করেছেন তাঁর অভিভাবকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, শুধু ওই পরীক্ষার্থীই নয়। এভাবে অনেক পরীক্ষার্থীকেই তল্লাশি করেছেন পরীক্ষাকেন্দ্রের লোকজন। যার ফলে পরীক্ষা দিতে গিয়ে রীতিমতো মুষড়ে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। অনেকেই চোখের জল ফেলতে ফেলতে বাড়ি গিয়েছেন বলে অভিযোগকারী পরীক্ষার্থী পুলিশকে জানিয়েছেন।

অভিযোগকারী পরীক্ষার্থীর আরও অভিযোগ, পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রের একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই তাঁদের অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হয়। কিছু পরীক্ষার্থীর কাছে আবার পরীক্ষাকেন্দ্রের লোকজন শাল থেকে অন্যান্য জিনিসও দাবি করেছেন। সেই দাবি পূরণ করতে বাধ্য হয়েছেন পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।

আরও পড়ুন- মাওবাদী প্রচণ্ডর সঙ্গে বিজেপি সভাপতি নাড্ডার বৈঠক, ভারত-নেপাল সম্পর্কে নতুন মাত্রা

এনিয়ে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে অভিযোগ জানানোরও চেষ্টা করেছিলেন বলেই অভিযোগকারিণী পুলিশকে জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, 'অভিযোগ জানাতে গেলে, জাতীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থার প্রতিনিধিরা পালটা তাঁদের প্রশ্ন করেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ আগে। নাকি অন্তর্বাস খুলিয়ে তল্লাশির ব্যাপারে অভিযোগ জানানোটা বড়?' এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

কোল্লাম গ্রামীণ পুলিশ জেলার সুপার কেবি রবি বলেন, 'আমরা এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবকদের থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশের একটি দল ওই পরীক্ষার্থীর বয়ানও নথিবদ্ধ করেছে। ঘটনার জেরে মামলা শুরু হয়েছে। তদন্ত চালিয়ে প্রকৃত দোষী কে তা দেখা হচ্ছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Read full story in English

kerala neet examination
Advertisment