Advertisment

কেরালায় কুয়োর মধ্যে থেকে উদ্ধার সন্ন্যাসিনীর মৃতদেহ

রক্তের দাগ দেখে মনে করা হচ্ছে, ওই সন্ন্যাসিনীর দেহ টানতে টানতে কুয়োর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সন্ন্যাসিনী যে ঘরে থাকতেন সেখানেও রক্তের চিহ্ন দেখতে পাওয়া গেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কুয়োর মধ্যে থেকে উদ্ধার সন্ন্যাসিনীর মৃতদেহ

৫৫ বছরের এক ক্রিস্টান সন্ন্যাসিনীর মৃতদেহ মিলল কেরালার কোল্লামে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস মালয়ালমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কোল্লামের পাঠানপুরম এলাকার একটি কনভেন্টের কুয়োর মধ্যে থেকে আজ সকাল ৯ টা নাগাদ ওই মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisment

রক্তের দাগ দেখে মনে করা হচ্ছে, ওই সন্ন্যাসিনীর দেহ টানতে টানতে কুয়োর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সন্ন্যাসিনী যে ঘরে থাকতেন সেখানেও রক্তের চিহ্ন দেখতে পাওয়া গেছে। মৃত্যুর কারণ যথেষ্ট সন্দেহজনক বলেই মনে করছে পুলিশ। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন তাঁরা।

কনভেন্টের একটি ঘরে একাই থাকতেন সন্ন্যাসিনী। এক সপ্তাহের ছুটি কাটিয়ে শুক্রবারই কাজে ফিরেছিলেন তিনি। কনভেন্টের অন্য বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁর কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল। গত ১২ বছর ধরে ওই কনভেন্টে শিক্ষকতা করতেন তিনি।

১৯৯২ সালে সিস্টার অভয়ার মৃত্যু ও সে নিয়ে তোলপাড়ের স্মৃতি এখনও ফিকে হয়নি কেরালায়। কোট্টায়ামের সেন্ট পায়াসের কনভেন্টের একটি কুয়োর মধ্যে থেকে মৃতদেহ মিলেছিল সিস্টার অভয়ার। স্থানীয় পুলিশ সে ঘটনা আত্মহত্যা বলে উড়িয়ে দেওয়ার পর, মামলা যায় সিবিআই-এর কাছে। ২০০৯ সালে অভয়াকে হত্যার ঘটনায় দুই যাজক ও এক সন্ন্যাসিনীকে অভিযুক্ত করা হয়। হত্যা ছাড়াও তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও আনা হয়েছিল। অভিযোগ, দুই যাজকের সঙ্গে এক সন্ন্যাসিনীর অবৈধ সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ার ফলেই খুন হতে হয়েছিল অভয়াকে। সে মামলা এখনও সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে চলছে। অভিযুক্তরা জামিনে মুক্ত রয়েছেন।

kerala
Advertisment