৬ অক্টোবর অবধি বিচার বিভাগীয় হেফাজতে ধর্ষক বিশপ ফ্র্যাঙ্কো মুলাক্কাল

রিম্যান্ড রিপোর্টে পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগ মেডিক্যাল পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, এবং এও জানিয়েছে যে বিশপ তাঁর আধ্যাত্মিক পদমর্যাদার জোরে ওই নান-কে প্রভাবিত করেছিলেন।

রিম্যান্ড রিপোর্টে পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগ মেডিক্যাল পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, এবং এও জানিয়েছে যে বিশপ তাঁর আধ্যাত্মিক পদমর্যাদার জোরে ওই নান-কে প্রভাবিত করেছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
kerala nun rape

গ্রেফতারির আগে কেরালার কোচিতে বিশপ

কেরালার এক নান-কে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার বিশপ ফ্র্যাঙ্কো মুলাক্কালকে সোমবার ৬ অক্টোবর অবধি বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে পালা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট, জানাচ্ছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। এর আগে মুলাক্কালকে গত শুক্রবার তিনদিনের জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই নান-কে একাধিকবার ধর্ষণ করার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisment

শনিবার মুলাক্কালকে কোর্টে তোলা হলে তাঁকে দু'দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। মুলাক্কালের উকিল জামিনের আবেদন জানালেও আদালত দু'দিনের পুলিশি হেফাজতের অনুমতি দেয় এই কারণে, যে অভিযুক্তকে প্রমাণ সংগ্রহের স্বার্থে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন ছিল।


আরও পড়ুন: অবশেষে ইস্তফা চাইলেন ধর্ষণে অভিযুক্ত জলন্ধরের বিশপ

Advertisment

আদালতের কাছে পেশ করা রিম্যান্ড রিপোর্টে পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগ মেডিক্যাল পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, এবং এও জানিয়েছে যে বিশপ তাঁর আধ্যাত্মিক পদমর্যাদার জোরে ওই নান-কে প্রভাবিত করেছিলেন, এমনকি 'আ ডে উইথ দ্য বিশপ' অনুষ্ঠানসূচীরও অপব্যবহার করেন। পুলিশের আরও বক্তব্য, মুলাক্কাল বিভিন্ন সময়ে তদন্ত প্রক্রিয়াকেও চালনা করার চেষ্টা করেছেন, মূলত সাক্ষীদের প্রভাবিত করে। ধর্ষণের সময় তিনি যে পোশাক পরেছিলেন, এবং তাঁর ল্যাপটপটি এখনও উদ্ধার করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত সপ্তাহে শুরু হওয়া নতুন একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন পুলিশ মুলাক্কালের সঙ্গে তিনদিন ধরে কথা বলে। প্রশ্নোত্তর পর্বের দরুন মুলাক্কাল টানা বলে যান তিনি নিরপরাধ, কিন্তু তাঁর বয়ানে নানারকম অসঙ্গতি, অবস্থাগত প্রমাণ, সাক্ষীদের বয়ান, এবং ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারা অনুসারে ওই নান-এর বয়ানের ভিত্তিতে শেষমেশ তাঁকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ।