গত জুলাই মাসে রোমান ক্যাথলিক চার্চের জলন্ধর ডায়োসিসের বিশপ ফ্রাঙ্কো মুলাক্কালের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণের অভিযোগ আনেন এক সন্ন্যাসিনী। সম্প্রতি ওই নিগৃহীতার ছবি সহ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপরই গত শুক্রবার কেরলের পুলিশ মামলা রুজু করে এই ঘটনায়।
কোট্টায়াম এসপি হরিশঙ্কর জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধির ২২8 (এ) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। কেরলের মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান এম সি জোসেফাইন বলেন, যাঁরা নিগৃহীতার ছবিটি প্রচার করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন "যাঁরা নিগৃহীতার অপমান করার চেষ্টা করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধেও যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যেই কমিশনার এই বিষয় তদন্ত করছে"।
আরও পড়ুন: মহিলাকে ধর্ষণ, মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার পুলিশ অফিসারের ছেলে
মিডিয়ার জন্য প্রকাশিত ওই ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে তিন বছর আগের একটি অনুষ্ঠানে অভিযুক্ত বিশপ ফ্রাঙ্কো মুলাক্কালের পাশেই বসে রয়েছেন ওই সন্ন্যাসিনী, রয়েছেন অন্যান্যরাও। ওই চার্চের জনসংযোগ আধিকারিক অফিসার অমলা নামের এক সিস্টার। তবে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে অভিযোগকারীর মুখ ও পরিচয় প্রকাশ না -করেই ছবিটি প্রকাশ করা উচিত ছিল। এতে প্রচার মাধ্যমের নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য চার্চ কোনও ভাবেই দায়ি থাকবে না। এ বিষয়ে সিস্টার অমলা কোনওরকম মন্তব্য করেনি।
চার্চের পাঁচ সন্ন্যাসিনীর একজন সিস্টার অনুপমা নিগৃহীতার বিচার এবং অভিযুক্ত বিশপের শাস্তি চেয়ে প্রতিবাদ জানায়। মঙ্গলবার কেরল হাইকোর্ট থেকে কিছু দূরে একটি জমায়েতে সামিল হন তাঁরা। পাশাপাশি সন্ন্যাসিনীরা জানিয়ে দেন, তাঁরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। এরই মধ্যে নিজের সঙ্গে হওয়া অবিচারের কথা জানিয়ে ভ্যাটিকানকে চিঠি দিয়েছেন অভিযোগকারিণী সন্ন্যাসিনী।
প্রসঙ্গত, ৫ মে, ২০১৪-র যে অভিযোগের ভিত্তিতে যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় তাতে বলা হয় যে, বিশপ সেদিন ফেসিলিটিতে ছিলেন না। রাতের খাওয়ার পর অন্য কনভেন্টে চলে গেছিলেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রমাণও জমা দেওয়া হয়েছে তদন্ত কমিটির কাছে।
জলন্ধর পুলিশ বলে ঘটনার তদন্তে শীর্ষকর্তা ডিএসপি কে সুভাষের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ওই বিশপের মুলক্কালের কাছে একটি সমন পাঠানো হয়। সমন জারি করে আগামি ১৯ সেপ্টেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।