কেরালার কোঝিকোড়ে এয়ার এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমান আইএক্স- ১৩৪৪ দুর্ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানালেন অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। দুবাই থেকে কালিকটগামী বিমানটি প্রতিকূল আবহাওয়ায় রানওয়েতে অবতরণের সময় পিছলে ৩৫ ফুট খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত এয়ার এক্সপ্রেস বিমানটি দু'টুকরো হয়ে যায়। দুর্ঘটনার জেরে ওই বিমানের পাইলট, সহকারী পাইলট সহ কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দুর্ঘটনাগ্রস্থ বিমানটিতে ৩৫ জন ক্রু সদস্য সহ মোট ১৯০ জন যাত্রী ছিলেন। অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেছেন, 'যাত্রীদের উদ্ধারে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো এই বিপর্যের তদন্ত করবে। তদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই দিল্লি ও মুম্বই থেকে বিশেষজ্ঞরা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন।'
মন্ত্রী পুরীর মন্তব্যের আগে অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭.৪১ নাগাদ কোঝিকোড়ে পৌঁছায় করোনা অতিমারির মধ্যে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরানোর ‘বন্দে ভারত’ অভিযানের অন্তর্ভুক্ত এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের উড়ান আইএক্স-১৩৪৪। অবতরণের সময় বিমানে আগুন লক্ষ্য করা যায়নি। ওই বিমানে ১৭৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রী, ১০টি শিশু, ২ জন পাইলট ও ৪ জন বিমানকর্মী ছিলেন। রানওয়েতে অবতরণের পর বিমানটি পিছলে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
গভীর রাত পর্যন্ত ভেঙে পড়া বিমান থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করার কাজ করে কেরাল পুলিশ ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর যৌথ দল।
বিমান বিপর্যয়ে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্পর মোদী। সবধরনের সহায়তার আশ্বাস দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ের সঙ্গেও কথা বলেন মোদী।
মেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের মতো কোঝিকোড় বন্দরও পাহাড় ঘেরা। এখানকার রানওয়ে টেবিলটপ। ফলে অবতরণের সময় পাইলটদের দৃশ্যমাণতার অভাব ও বিভ্রান্তি হয়ে থাকে। এক্ষেত্রেও বৃষ্টির মধ্যে তাই হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান।।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন