গত ২ দিন ধরে টানা বৃষ্টির জেরে কার্যত ভাসছে কেরালা। তার মধ্যেই দক্ষিণের এই রাজ্যে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টির জেরে এখনও পর্যন্ত কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। এমতাবস্থায় কেরালার ৪ রাজ্যে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কোঝিকোড়, ওয়েনাড়, ইড়ুক্কি, মালাপ্পুরম জেলায় চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। তবে রাজধানী তিরুঅনন্তপুরমে সেই অর্থে এখনও পর্যন্ত কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীরের মানুষ বেছে নিতে পারবেন বিধানসভা, বিধায়ক, মুখ্যমন্ত্রী’
গত ২ দিনের টানা বৃষ্টিতে জল থইথই কেরালা। বৃষ্টির জেরে ব্যাহত হয়েছে ট্রেন পরিষেবা। রেলের পাশাপাশি বিমান পরিষেবাও বিঘ্নিত হয়েছে। রবিবার দুপুর ৩টে পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কোচি বিমানবন্দর। ভারী বৃষ্টির জেরে বৃহস্পতিবার ৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছিল বিমান পরিষেবা। প্রায় ১৩ হাজার মানুষকে ত্রাণশিবিরে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সমঝোতা এক্সপ্রেস বন্ধ করল পাকিস্তান, বন্ধ ভারতের হিন্দি সিনেমাও
The flood situation in my parliamentary constituency, #Wayanad is grim. I’m monitoring the situation closely & have spoken to the Kerala CM and key Govt officials to expedite relief.
I will be reaching out to PM Modi as well to brief him & request Central Govt. assistance. pic.twitter.com/HWN8LXgE4h
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) August 8, 2019
বৃহস্পতিবার ওয়েনাড় জেলায় ধসের কবলে পড়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। নদীর জলে ভেসে গিয়েছে কোঝিকোড়, কান্নুর, মালাপ্পুরম জেলার বেশ কিছু এলাকা। শতাধিক বাসিন্দাদের ত্রাণশিবিরে পাঠানো হয়েছে। মন্দির, গির্জা-সহ কয়েকটি বাড়ি ধসে গিয়েছে। ওই এলাকায় বেশ কয়েকজন নিখোঁজ বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।রাজ্যের বৃষ্টি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বৃহস্পতিবার কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানান, ওয়েনাড়ে বড়সড় ধস নেমেছে। তিনি বলেন, ‘‘সেনা ও বায়ুসেনা উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে’’। ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘ওয়েনাড়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে জানাব। সহযোগিতার আর্জি জানাব’’।
কেরালার পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ছত্তীসগড়ও। টানা বৃষ্টিরে জেনে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বস্তার এলাকায়। দুর্গতদের সবরকম সাহায্যের জন্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। বস্তার, সুকমা, বীজাপুর জেলা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেরালার পাশাপাশি দক্ষিণের আরেক রাজ্য কর্ণাটকও ভাসছে। একটানা বৃষ্টির জেরে কর্ণাটকের ১৫টিরও বেশি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৯ জনেরও বেশি বাসিন্দার মৃত্যুর খবর মিলেছে।
Read the full story in English