পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার ঢালাও মদের লাইসেন্স দিয়েছে। তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বামফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা। বামেদের সেই প্রতিবাদ এখনও চলছে। তার কয়েক বছর কাটতে না-কাটতেই এবার বামশাসিত কেরলেও দেওয়া শুরু হল ঢালাও মদের লাইসেন্স। আর, এই ঢালাও মদের লাইসেন্স দিতে গিয়ে বদলে ফেলা হল নীতি। সেই নীতি অনুযায়ী, তথ্যপ্রযুক্তি পার্কে মদ বিক্রির দোকান খোলা যাবে। কেরলে যাতে উন্নতমানের মদ তৈরি হয়, তার জন্য প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোকে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেবে সরকার। বিভিন্ন জায়গায় নতুন মদের দোকান খোলার জন্যও মিলবে লাইসেন্স।
তবে এই নীতি বদল আগামী অর্থবর্ষের কথা মাথায় রেখে করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মদ-সংক্রান্ত নতুন নীতিকে কার্যকর করতে কাঁঠাল, কাজু, আনারস, কলা উত্পাদনের পরিমাণও বাড়াতে চায় পিনারাই বিজয়নের নেতৃত্বাধীন কেরল সরকার। কেরল সরকারের নিজস্ব মদ বিক্রয় সংস্থা বেভকোকে কেরলজুড়ে আরও বেশি দোকান খোলার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে নতুন নীতিতে। বর্তমানে কেরলে মাত্র ৩০৬টি মদের দোকান আছে। সেখানে ক্রেতাদের লম্বা লাইন লেগেই থাকে। সেই লাইন কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য বারবার বেভকোকে নির্দেশ দিয়েছে কেরল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন- রেলমন্ত্রীর বাংলো জবরদখল, চিরাগকে উচ্ছেদে দল পাঠাল সরকার
নতুন নীতি অনুযায়ী বেভকো আরও ১৭৫টি দোকান খুলতে চলেছে। তবে, সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। এনিয়ে সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে বলেই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। কোন কোন জায়গায় মদের নতুন দোকানগুলো খোলা হবে, তা নিশ্চিত করতে এখন রীতিমতো স্থান বাছাইয়ের কাজ চলছে। এক্ষেত্রে পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছে কেরল সরকার। মজার ব্যাপার হল, কেরল বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিতে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক জোট মদ বিক্রি এবং কেনার পরিমাণ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এজন্য ক্ষমতায় এলে বাম নেতৃত্বাধীন সরকার কেরলে প্রচার চালাবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল নির্বাচনী ইস্তাহারে। যদিও কার্যক্ষেত্রে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির ঠিক উলটোপথে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে কেরল সরকারকে।
Read story in English