সংক্রমণ শিখরে কেরল। শুক্রবারের পর শনিবারও রাজ্যের করোনা পরিসংখ্যান চোখ কপালে তোলার পক্ষে যথেষ্ট। একদিনে নতুন করে প্রায় ৫১ হাজার মানুষ ফের করোনায় আক্রান্ত হলেন দক্ষিণের এই রাজ্যে। এর্নাকুলাম, থিরুঅনন্তপুরম, কোঝিকোড়ের মতো জেলাগুলিতে বিদ্যুৎ গতিতে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ।
মাত্রাছাড়া সংক্রমণে ত্রস্ত কেরল। করোনার তৃতীয় ধাক্কায় তোলপাড় ঈশ্বরের নিজের দেশ। শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যানে থরহরি কম্প দশা।
শনিবার রাজ্যে নতুন করে ৫০ হাজার ৮১২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু ৮ জনের। সব মিলিয়ে কেরলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫৯ লক্ষ ৩১ হাজার ৯৪৫। এখনও পর্যন্ত দক্ষিণের এই রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ হাজার ১৯১ জনের। এই মুহূর্তে কেরলে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ২০২।
রাজ্যজুড়েই ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। এর্নাকুলাম, থিরুঅনন্তপুরম, কোঝিকোড়ের মতো জেলাগুলিতে ব্যাপক হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। শনিবার এর্নাকুলামেই ১১ হাজারের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। থিরুঅনন্তপুরমে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬৪৭ জন।
কোঝিকোড়ে একদিনে করোনায় কাবু ৪ হাজার ৪৯০। শুক্রবারও রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫৪ হাজার ৫৩৭ জন। যদিও দেশের বেশ কিছু শহরে ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। তবে ঝুঁকি এখনও কাটেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরও বেশ কিছুদিন সতর্ক থাকতেই হবে।
আরও পড়ুন- ৬০ শতাংশের ডোজ পাওয়া সম্পন্ন হতেই ভারতে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাদানের গতি কমল
এদিকে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশজুড়ে জারি রয়েছে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি। ইতিমধ্যেই দেশের ১৫-১৮ বছর বয়সীদের প্রায় ৬০ শতাংশের কোভিড টিকার প্রথম ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তবে তারপর থেকেই এই বয়সীদের টিকাদানের গতি মন্থর হয়েছে।
গত এক সপ্তাহে, ১৫-১৮ বছর বয়সীদের প্রত্যেকদিন গড়ে ৬.২৫ লক্ষকে টিকা দেওয়া হয়েছিল। এই মাসের প্রথম সপ্তাহে এই বয়সীদের টিকাদান শুরু হয়। সেই সময় প্রতিদিন গড়ে ৪০ লক্ষেরও বেশি ১৫-১৮ বছর বয়সীকে টিকা দেওয়া হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত এই বয়সের ৪.৫ কোটির বেশি টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছে।
Read story in English