দেশে নতুন করে আরও এক মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের হদিশ মিলল। দেশের মধ্যে তৃতীয় মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত ব্যক্তিও কেরলেরই বাসিন্দা। এবার কেরলের মালাপ্পুরম জেলায় নতুন এই আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। দেশে এর আগে বাকি দুই মাঙ্কিপক্স আক্রান্তও কেরলেরই বাসিন্দা।
কেরলের স্বাস্থ্য মন্ত্রী বীনা জর্জ জানিয়েছেন, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত তৃতীয় রোগীও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে কেরলে ফিরেছেন। ৩৫ বছরের ওই রোগী সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে গত ৬ জুলাই মালাপ্পুরমে আসেন। ১৩ জুলাই তাঁর জ্বর আসে। পরে ১৫ জুলাই তাঁর শরীরে মাঙ্কিপক্সের লক্ষ্মণ দেখা দেয়। ওই রোগিকে মাঞ্জেরির সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। তাঁকে নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, রাজ্যে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত অন্য দুই ব্যক্তির অবস্থাও স্থিতিশীল রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে ফিরে ৩৫ বছরের এক ব্যক্তির সংক্রমণ ধরা পড়ে। ১৪ জুলাই কেরলে দেশের প্রথম মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের হদিশ মেলে।
পরবর্তী সময়ে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা বাস্তবায়নে রাজ্যকে সহায়তার জন্য কেন্দ্র একটি উচ্চ-স্তরের মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি দল কেরলে পাঠায়। কেরলের ১৪টি জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চারটি বিমানবন্দরে সহায়তা ডেস্কও চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- ‘মদের লাইসেন্সের টাকা অন্যত্র খরচ, CBI দেখুক’, মিথ্যা অভিযোগ বলে চেঁচাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
গত ১৮ জুলাই দুবাই থেকে কান্নুরে ফেরা ৩১ বছরের এক যুবকের শরীরে মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস মিলেছে। ওই যুবকই দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত দ্বিতীয় রোগী ছিলেন। মাঙ্কিপক্স হল একটি ভাইরাল জুনোটিক রোগ। যার উপসর্গ গুটিবসন্তের মতো। যদিও এর ক্লিনিকাল তীব্রতা কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এটি সাধারণত একটি স্ব-সীমিত রোগ।
যার লক্ষ্মণ দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়। সম্প্রতি হু কর্তারা জানিয়েছেন, মাঙ্কিপক্সের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার প্রায় তিন-ছয় শতাংশ। মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের উপসর্গগুলি হল, জ্বর, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা এবং পিঠে ব্যথা, ফোলা লিম্ফ নোড, ঠাণ্ডা লাগা, ক্লান্তি এবং ফুসকুড়ি (যা মুখে, মুখের ভিতরে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ব্রণ বা ফোস্কার মতো হতে পারে)।