আত্মহত্যার আগে চলে ২৯ ঘন্টার টানা অত্যাচার। ভেটেরিনারি ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। আত্মহত্যার আগে সিনিয়ররা প্রায় ২৯ ঘন্টা ধরে চালায় নির্মম অত্যাচার। তার ফলেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ওই পড়ুয়া। পুলিশি রিপোর্টে এমন ঘটনা সামনে আসতেই শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। এই মামলার যাবতীয় তথ্য পুলিশ ইতিমধ্যেই সিবিআই-য়ের হাতে তুলে দিয়েছে।
জেএস সিদ্ধার্থন, কেরলের ওয়েনাড জেলার ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা শুক্রবার তার মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত ২০ জনের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেছে। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগের পাশাপাশি কেরলের অ্যান্টি র্যাগিং আইনের ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
কেরল পুলিশ তাদের তদন্তে জানতে পেরেছে যে সিদ্ধার্থনকে প্রায় ২৯ ঘন্টা নির্যাতন করা হয়েছিল। এখন এই মামলা সিবিআই-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ৫ এপ্রিল এই মামলায় 20 জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে।
২০ বছর বয়সী সিদ্ধার্থনের পরিবারের সদস্যরা সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন। আসিফ খান এবং মহম্মদ ধানিস সহ মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া, র্যাগিং আইনসহ বিভিন্ন ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত পুলিশ মোট ১৮ জন ছাত্রকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
পুলিশ এই নির্যাতনকেই সিদ্ধার্থনের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি দল ৮ এপ্রিল ওয়ানাডে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তারা নিহতের পরিবারের সদস্য ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবে।
পুলিশ রিপোর্ট অনুসারে কলেজের ১৩০ জন ছাত্রের সামনে তাকে নির্যাতন করা হয়। ঘটনার পর কলেজ প্রশাসন বিষয়টি চাপা দেয়ার চেষ্টা করে। অভ্যন্তরীণ তদন্তের জন্য গঠিত কমিটির সামনে মুখ খুলতে রাজি হননি অনেক শিক্ষকও।