Corona at Kerala: চলতি সপ্তাহেই বকরি ঈদে লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্তে কেরল সরকারের সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এবার ফের সম্পূর্ণ লকডাউনে ফিরল দক্ষিণের এই রাজ্য। আগামি ২৪ এবং ২৫ তারিখ অর্থাৎ শনি এবং রবিবার সে রাজ্যে পূর্ণ লকডাউন। এর আগে ১২ এবং ১৩ জুন এভাবে লকডাউন কার্যকর করেছিল পিনরাই বিজয়ন সরকার। পাশাপাশি গণনমুনা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে কেরলের স্বাস্থ্য দফতর। ২৩ জুলাই থেকে শুরু হবে এই গণনমুনা পরীক্ষা। দিনে ৪ লক্ষ মানুষের নমুনা পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ হার বেশি (১০%-এর উপর) সেই জেলাতেই চলবে গণহারে নমুনা পরীক্ষা।
পাশাপাশি প্রতি জেলায় মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণের হার বিচার করে স্থানীয় ভাবে কড়াকড়ির উপর জোর দিতে জেলা শাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৬ জুলাই থেকে তিন দিনের জন্য বকরি ঈদ উপলক্ষে ছাড় ঘোষণা করেছিল কেরল সরকার। এই সিদ্ধান্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের বকুনির মুখে পড়তে হয় বিজয়ন সরকারকে। কেন এই সিদ্ধান্ত? এভাবেই করা হয়েছে জবাব তলব। এমনকি, এই সিদ্ধান্তের জেরে সংক্রমণ বাড়লে কড়া পদক্ষেপের হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছে শীর্ষ আদালত। তারপরেই তড়িঘড়ি সংক্রমণে রাশ টানতে পূর্ণ লকডাউনে ফিরছে কেরল। এমনটাই সরকারি সূত্রে খবর।
এদিকে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অক্সিজেন অভাবের ভয়ঙ্কর চিত্র সাড়া দেশ দেখেছে। একাধিক সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে ছাপা হয়েছিল সেই ছবি। বিরোধীদের দাবি, এই অব্যবস্থার কারণে একাধিক প্রাণহানি হয়েছে। কিন্তু অক্সিজেনের অভাবে কারও কোনও মৃত্যুর খবর কেন্দ্রের কাছে নেই। কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপালের প্রশ্নের উত্তরে মঙ্গলবার একথা জানাল কেন্দ্র। পাশাপাশি দায় এড়িয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্বাস্থ্য রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। তাই স্বাস্থ্য অব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সেই দায় রাজ্যের ঘাড়েই বর্তাবে। সরকারি সূত্রে সংসদে দাবি করা হয়েছে, কোভিডে মৃত্যুর বিষয়টি রাজ্য কেন্দ্রকে জানায়। কোনও রাজ্যই অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর খবর কেন্দ্রকে জানায়নি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় উত্তরপ্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্যে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের বক্তব্য, ‘খাতায় কলমে কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর কথা জানায়নি। তবে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অক্সিজেনের চাহিদা বিপুল বেড়ে গিয়েছিল।‘ একটি পরিসংখ্যানে উল্লেখ, ‘করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় অক্সিজেনের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ৩ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় সেই চাহিদা বেড়ে হয় ৯ হাজার মেট্রিক টন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন