কেরল থেকে পালিয়ে গিয়ে আফগানিস্তানে জঙ্গি সংগঠন আইএস-এ যোগ দেওয়া যুবক নজিব খুন হয়েছেন। যদিও এব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও তথ্য মেলেনি। ভয়েস অফ খোরাসনের সর্বশেষ সংখ্যায় “নাজিব আল হিন্দি”-এর ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। সেই ছবিটিই কেরলের মালাপ্পুরম জেলার পোনমালার বাসিন্দা নাজিব নামে ওই যুবকের বলে শনাক্ত করেছেন তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠরা।
২০১৭ সালে ইসলামিক স্টেটে যোগদানকারী কেরলের মালাপ্পুরম জেলার ওই যুবককে আফগানিস্তানে খুন করা হয়েছে। খোদ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তরফেই এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র থেকে আরও জানা গিয়েছে, ওই যুবকের মৃত্যুর কোনও আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ নেই। তবে ভয়েস অফ খোরাসনের সর্বশেষ সংখ্যায় “নাজিব আল হিন্দি”-এর ছবিটি মালাপ্পুরমের পোনমালার বাসিন্দা নাজিব নামের ওই যুবকের বলেই দাবি করেছে তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠরা।
তামিলনাড়ুর ভেলোরের একটি কলেজে এমটেক-এর পড়ুয়া ছিলেন নজিব। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের আগস্টে নাজিবের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি নিখোঁজ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সূত্রটি বলেছে, ''পরে আমরা বুঝতে পারি যে সে দেশ ছেড়ে আফগানিস্তানে আইএস-এ যোগ দিয়েছে। আমরা জানি না যে ওই যুবক কখন আফগানিস্তানে নিহত হয়েছেন। তার মৃত্যুর একমাত্র নিশ্চিতকরণ হল ভয়েস অফ খোরাসনের ঘোষণা।''
আরও পড়ুন- লাগাতার নিম্নমুখী দেশের কোভিডগ্রাফ, আরও কমল অ্যাক্টিভ কেস
এদিকে, মালাপ্পুরম জেলার পোনমালায় নাজিবের পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ বলেন, ''আমরা বিশ্বাস করি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতক নজিব মারা গিয়েছেন। ওঁর পরিবারই প্রকাশ হওয়া ওই ছবিটি নজিবের বলে নিশ্চিত করেছে। তাঁরা এর আগেও নজিবের মৃত্যুর খবর শুনেছিল। ভয়েস অফ খোরাসান জানিয়েছে আফগানিস্তানে পৌঁছানোর কয়েক মাস পরে তাকে খুন করা হয়েছিল।''
উল্লেখ্য, নাজিব ২০১৭-এর জুলাই-আগস্টে নিখোঁজ হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে পরিবারকে একটি টেলিগ্রাম অ্যাপ বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তিনি কাফেরদের (অবিশ্বাসীদের) মধ্যে থেকে পালিয়ে এসেছেন এবং শীঘ্রই একজন 'শহিদ' হবেন বলেও জনিয়েছিলেন। নজিব তার পাঠানো টেলিগ্রাম অ্যাপ বার্তায় আরও জানিয়েছিলেন, ''কাফেরদের সঙ্গে বেঁচে থাকার কোনও মানে নেই। আমি কাফিরদের দুনিয়া থেকে পালিয়ে এসেছি।'' পরে পুলিশি তদন্তে জানা যায় যে নাজিব আইএসে যোগ দিতেই ভারত ছেড়েছিলেন।
Read story in English