প্রায় ১৯ বছর পর সবরমতী এক্সপ্রেস অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রফিক হোসেন ভাটুককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার গোধরা শহরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯ বছর আগে সবরমতী এক্সপ্রসে আগুন লাগিয়ে দেয় একদল দুষ্কৃতী। যার জেরে ৫৯ জন করসেবক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। যে দল এই কাজ করেছিল, তাদের মূল চক্রী ছিল ভাটুক। বর্তমানে প্রৌঢ় এই মূল চক্রীকে গত ১৯ বছর ধরে খুঁজছিল পুলিশ। জানিয়েছে, পাঁচমহল জেলার পুলিশ সুপার লীনা পাতিল।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, গোধরা পুলিশের একটা দল সিগন্যাল ফালিয়া এলাকায় একটি বাড়িতে হানা দেয় রবিবার রাতে। সেখানেই রাতভর ঘাঁপটি মেরে থাকে পুলিশ। গোধরা স্টেশনের কাছে সেই বাড়িতে রফিক আসতেই তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। সুপারের দাবি, গোধরা কাণ্ডে জড়িত দলের পাণ্ডা ছিল রফিক। ভিড়কে উত্তেজিত করে ট্রেনের কামরায় পেট্রল ঢেলে আগুন লাগাতে উস্কিয়ে ছিল রফিক। ঘটনার পরই দিল্লিতে পালিয়ে যায় সে। ওর বিরুদ্ধে খুন-দাঙ্গা সহ একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির সেই ঘটনায় মোট ৫৯ জন করসেবকের মৃত্যু হয়েছিল। তারপরেই গুজরাত তথা ভারতের ইতিহাসে অন্যতম রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা লাগে গোধরাতে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, রফিক গোধরা স্টেশনে একজন শ্রমিকের কাজ করত। ট্রেনের কামরায় পাথর ছোঁড়া এবং পেট্রল ঢালার অভিযোগ রয়েছে। এরপরই উন্মত্ত জনতা সেই কামরায় আগুন ধরিয়ে দেয়। দিল্লিতে গিয়েও কখনও নির্মাণ শ্রমিক, কখনও স্টেশনে আবার কখনও ঠেলাগাড়িতে জিনিসপত্র বিক্রি করত রফিক।
গোধরা কাণ্ডের আগে পরিকল্পনা মাফিক পরিবারকে সুলতান ফালিয়া থেকে সিগন্যাল ফালিয়া এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যায় রফিক। তারপর খুব কম বাড়ি আসত সে। এক-দুদিন থেকে সে আবার চলে যেত। অনেকদিন ধরে তক্কে তক্কে ছিল পুলিশ। এলেই তাকে ধরবে। তবে রফিককে ধরলেও আরও তিন অভিযুক্ত সেলিম ইব্রাহিম বাদাম ওরফে সেলিম পানওয়ালা, শওকত চারখা এবং আবদুল মাজিদ ইউসুফ মির্জা এখনও পলাতক। অনুমান, তারা পাকিস্তানে পালিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন