আজ সকালে রাশিয়ায় জ্বালানি ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে ইউরোপের দীর্ঘতম সেতুর একটি অংশ ধসে পড়ে। এই সেতুটি রাশিয়াকে ক্রিমিয়ার দখলকৃত অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অবিলম্বে ক্রিমিয়ার কের্চ ব্রিজ দুর্ঘটনার তদন্তের কমিশন গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ক্রেমলিন থেকে কের্চ ব্রিজের মাধ্যমেই দক্ষিণ ইউক্রেনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত রাশিয়া।
রিপোর্ট অনুসারে, জানা গিয়েছে একটি বড় বিস্ফোরণের পরে কের্চ ব্রিজের রাস্তার দুটি অংশ ধসে পড়েছে। একই সময় জ্বালানি ট্যাঙ্কে আগুন ধরে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা কের্চ ব্রিজের ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে ব্রিজ থেকে আগুনের লেলিহান শিখা জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। তীব্র বিষ্ফোরণে সেতুটির ব্যপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটিতে দুর্ঘটনাটি ঘটে আজ সকালেই। কের্চ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার গাড়ি চলাচল করে বলেও খবর। এই সেতু দিয়ে প্রতি বছর ১৪ মিলিয়ন যাত্রী এবং ১৩ মিলিয়ন টন কার্গো যাতায়াত করে। যদিও সেতুটি চালু হওয়ার পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর নির্মাণকে বেআইনি বলে ঘোষণা করে।
শনিবার সকালে ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সংযোগকারী কের্চ সেতুতে ঘটে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে ক্রিমিয়ায় রুশ সেনাদের জন্য সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই বিবেচিত ছিল। সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়া একটি পণ্যবাহী ট্রেনে আগুন লেগে যায় বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। সেতুটিতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের ৭০ তম জন্মদিনের মাত্র ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই এই ভিয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সামনে এসেছে। তবে আগুন লাগার ঘটনায় কোন হতাহতের খবর মেলেনি। রুশ প্রশাসন এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।