দুর্নীতি মামলায় ফের দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাত বছরের কারাদন্ড হল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার। সোমবার ঢাকার এক আদালত এই রায় দিয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে সে দেশের প্রধান বিরোধী দল (সংসদের বাইরে, কারণ সর্বশেষ নির্বাচন বয়কট করেছিল বিএনপি) তথা বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির প্রধান খালেদা জিয়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে তহবিল তছরুপের একটি মামলায় কারাদন্ড ভোগ করছেন। তাঁর স্বামী জিয়াউর রহমানের নামাঙ্কিত এক অনাথাশ্রমের তহবিল তছরুপের দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন খালেদা জিয়া এবং আরও ৩ জন। এর মধ্যেই আবার অন্য একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন তিনি।
এদিন জিয়া চ্যারিটেবল ফান্ডের মামলায় কারাদন্ডের সাজা ঘোষণা হল। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে অজ্ঞাত উৎস থেকে টাকা তুলে এই তহবিলে রাখার জন্যই জিয়া-সহ আরও তিন জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। তাঁর অনুপস্থিতিতে দুর্নীতি মামলার বিচার চালানোর যে রায় অতীতে হাইকোর্ট দিয়েছিল এদিন সকালে সেটিকে চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে 'লিভ-টু-আপিল' দায়ের করেন খালেদা জিয়া। কিন্তু, সে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।
আরও পড়ুন- সিবিআই-এ ফের বদল: এবার পরিবর্তন মঈন কুরেশি মামলার তদন্তকারী অফিসার
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর আদালত ঠিক করে পুরানো ঢাকার সেন্ট্রাল জেলের অন্দরে জিয়ার অনুপস্থিতিতেই বিচার প্রক্রিয়া চলতে থাকবে। এরপরই ২৭ সেপ্টেম্বর বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার আবেদন করে হাইকোর্টে খালেদা জিয়া একটি রিভিউ পিটিশন জমা দেন। কিন্তু, সেই আবেদন খারিজ করে শুনানি জারি রাখার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর থেকেই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে অনুপস্থিত থেকেছেন খালেদা জিয়া।
Read full story in English