ওয়ান্টেড জঙ্গি এবং খালিস্তান কমান্ডো ফোর্স (কেসিএফ)-এর প্রধান পরমজিৎ সিং পাঞ্জওয়ার ওরফে মালিক সর্দার সিংকে শনিবার সকালে পাকিস্তানের লাহোরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বিভিন্ন সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর। কট্টরপন্থী শিখ সংগঠন দল খালসার নেতা কানওয়ার পাল সিং নিশ্চিত করেছেন যে আততায়ীদের হামলায় পাঞ্জওয়ারের মৃত্যু হয়েছে।
কানওয়ার পাল বলেন, 'আমাদের তথ্য অনুযায়ী, তিনি মর্নিংওয়াকে যাচ্ছিলেন। তখনই দুই বন্দুকধারী তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।' তিনি যোগ করেছেন যে পাঞ্জওয়ারের দেহরক্ষী, যাঁকে পাকিস্তান সরকার নিয়োগ করেছিল, পালটা বন্দুকধারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সেই গুলিতে একজন বন্দুকধারী প্রাণ হারিয়েছে। অন্যজন আহত হয়েছে।
১৯৬০ সালে পঞ্জাবের তরনতারানের পাঞ্জওয়ার গ্রামে জন্মেছিল পরমজিৎ সিং পাঞ্জওয়ার। দীর্ঘদিন ধরেই সে কেসিএফের নেতা। কেসিএফ সংগঠন বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (ইউএপিএ)-এর তালিকায় জঙ্গি গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত। ভারতে তার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হতেই পরমজিৎ পাকিস্তানে পালিয়ে যায়। সেখানে সে লাহোরে থাকত। আর, লাহোর থেকেই জঙ্গি সংগঠনের কাজ চালাত। তার দল খালসা ২০২০ সালে প্রকাশিত নানকশাহি ক্যালেন্ডারে পাঞ্জওয়ারের একটি ছবিও প্রকাশ করেছিল।
কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, 'পাঞ্জওয়ার এতদিন ধরে পাকিস্তানে যুবকদের অস্ত্র প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আসছিল। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গিদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ এবং ভারতে অনুপ্রবেশে সে সহায়তা করত। পাশাপাশি, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিআইপি) ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা চালানোর দায়েও তার নাম বারবার উঠে এসেছে। ভারত সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের উসকানি দেওয়ার উদ্দেশ্যে রেডিও পাকিস্তানে এই জঙ্গিনেতা বিভিন্ন রাষ্ট্রদ্রোহী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী অনুষ্ঠানও সম্প্রচার করত।'
আরও পড়ুন- ‘সমকামিতা ব্যাধি, নিরাময় দরকার,’ সুপ্রিম কোর্টে জানাল আরএসএস অনুমোদিত সমীক্ষা
পাশাপাশি, মাদক চোরাচালানেও সক্রিয় ছিল পাঞ্জওয়ার। চোরাকারবারি এবং জঙ্গিদের মধ্যে প্রধান সংযোগকারী হিসেবেও সে দীর্ঘদিন ধরে বড় ভূমিকা পালন করে আসছিল। পঞ্জাবে মাদক ব্যবসার প্রসারে পাঞ্জওয়ারের জড়িত থাকার অভিযোগ বারবার উঠেছে। তার সঙ্গে ভারতজুড়ে জালনোট ছড়ানোর কাজেও যুক্ত ছিল এই জঙ্গিনেতা।