মধ্যপ্রদেশের খারগোনে সাম্প্রদায়িক হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে এক কোটি টাকার ত্রাণের প্যাকেজ বরাদ্দ রাজ্য সরকারের। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা হিংসার জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখবেন, তারপর ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এক প্রশাসনিক কর্তা। মঙ্গলবার সকালেই খারগোনে শিথিল করা হয়েছে কারফিউ। গত ১৪ এপ্রিল থেকে স্থানীয় প্রশাসন প্রতিদিন চার ঘন্টার জন্য কারফিউ শিথিল করছে।
খারগোনের কালেক্টর অনুগ্রহ পি বলেন, ''হিংসার জেরে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে প্রশাসন একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। রাজ্য সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদনও পাঠানো হয়েছিল। এক কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার।" প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সাম্প্রদায়িক হিংসার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি, দোকান, গাড়ির মালিকদের এই আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, খারগোনে সাম্প্রদায়িক হিংসার জেরে অনেকে আহত হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর সম্পত্তিরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নতুন করে যাতে কোনও গন্ডগোল না হয় সেব্যাপারে সচেষ্ট শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ফি দিন খারগোনে জারি থাকছে কারফিউ। তবে গত ১৪ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন চার ঘণ্টার জন্য শিথিল থাকছে কারফিউ। এই সময়ের মধ্যে লোকজন দুধ, শাকসবজি, খাবার, ওষুধ ও অন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে নিতে পারছেন।
আরও পড়ুন- ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাইকের ব্যবহারে কড়া নির্দেশিকা যোগী প্রশাসনের, মিছিলের অনুমতিতে নয়া নিয়ম
সরকারী নির্দেশিকা অনুযায়ী, কারফিউ শিথিল থাকাকালীন শুধুমাত্র দুধ, শাকসবজি এবং ওষুধ বিক্রির দোকানগুলি খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দারা তাঁদের আশেপাশের দোকান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারছেন। তবে পেট্রোল পাম্পগুলি বন্ধ থাকছে।
পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের (পিডিএস) অধীনে ন্যায্য মূল্যের দোকানগুলিতে কেরোসিন বিক্রিও আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে প্রসাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এবার সন্ধের দিকেও কারফিউ শিথিল করা হতে পারে।
Read story in English