একদিন আগেই NIA-র ওয়ান্টেড লিস্টে নাম, কানাডায় গুলিতে ঝাঁঝরা খলিস্তানপন্থী সুখা দুনে। জানা গিয়েছে সুখার বাবাকে সন্ত্রাসবাদীরা খুন করে। সরকারি চাকরি পেলেও সুখা তা করেননি, এখন কানাডায় খুন হয়েছেন এই খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে কানাডায় পালিয়ে গিয়ে নিজের আধিপত্য কায়েম করে সুখা।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় এজেন্টদের সম্ভাব্য জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন। এর মাঝেই কানাডায় এবার খুন পঞ্জাবের মাফিয়া সুখদুল সিং গিল ওরফে সুখা দুনে। কানাডায় খলিস্তানি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিল এই গ্যাংস্টার। কানাডার উইনিপেগে অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মৃত্যু হয় সুখা দুনে। পাঞ্জাবে তোলাবাজি, খুনের চেষ্টা ও খুনের মামলায় দুনে মোস্ট ওয়ান্টেড ছিল।
খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা নিয়ে কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে ভারত-কানাডা । সরকারী সূত্র জানিয়েছে পাঞ্জাবের মোগা জেলার এই গ্যাংস্টার ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে কানাডায় পালিয়ে যায়।
সুখা দুনাকের বাবা নায়েব সিং রাজ্য বিদ্যুৎ বোর্ডের কর্মচারী ছিলেন। ১৯৮৮সালে সালে, সন্ত্রাসবাদীদের হাতে তিনি খুন হন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সুখা ছিলেন সবার ছোট। কলেজে পড়ার সময় থেকেই অপরাধ জগতে হাত পাকান সুখা। সরকারি চাকরি পেলেও সে চাকরি প্রত্যাখ্যান করে এই কুখ্যাত গ্যাংস্টার।
সরকারি চাকরি না পেয়ে তার পরিবার তাকে বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করলেও সুখার বিরুদ্ধে মামলা থাকায় সে বিদেশে যেতে পারেনি। এরপর জাল নথির ভিত্তিতে পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশে পালিয়ে যান সুখা। সেখানে পৌঁছে তিনি আরশ দাল্লার সংস্পর্শে আসেন এবং এরপর সুখা অপরাধ জগতের বাঘ হয়ে ওঠেন। তার বিরুদ্ধে ১৬টিরও বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
বামবিহা গ্যাংয়ের হয়ে দুনে কাজ করছিল বলে অভিযোগ। লরেন্স বিষ্ণোই এবং গোল্ডি ব্রার গ্যাংয়ের সঙ্গে তার শত্রুতা ছিল। দুনে কবাডি খেলোয়াড় সন্দীপ নাগ্গাল আম্বিয়ান খুনেও অভিযুক্ত ঠিল। সন্দীপ ২০২২ সালের মার্চে পঞ্জাবের মালিয়ান গ্রামে একটি কবাডি ম্যাচ চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন। অমৃতসরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে দুনে খুনিদের আস্তানা দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্যাংস্টার সুখার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি ও টার্গেট কিলিংয়ের মত অভিযোগ রয়েছে।
মোগার এসএসপি জানিয়েছেন, সুখা দুনাকে খুন করা হয়েছে বলে তার পরিবার জানতে পেরেছে। তার পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যই বিদেশে থাকেন। সুখার বিরুদ্ধে ১৫ থেকে ১৬টি মামলা রয়েছে এবং সে আরশ দাল্লার ঘনিষ্ঠও ছিল। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, কানাডা থেকে ফোনে সুখার মৃত্যুর খবর পেয়েছেন তারা।