দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার সঙ্গে বিবাদের জেরে পরমাণু বোমা হামলার হুমকি দিলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি করোনার কারণে সীমান্ত বন্ধ, মার্কিন-নেতৃত্বাধীন বিভিন্ন রাষ্ট্রের আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আর তাঁর নিজের অব্যবস্থাপনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কিমের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। সেই কারণে তিনি উত্তর কোরিয়ার আরও বৃহত্তর অংশের জনসাধারণের সমর্থন চাইছেন। সেই সমর্থন আদায় করতেই তিনি উত্তর কোরিয়াকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারেন। এমনই আশঙ্কা করছে দক্ষিণ কোরিয়া। তাদের এই আশঙ্কার অবশ্য যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ, বৃহস্পতিবারই উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কিম দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। সেই ভাষণে তিনি দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন।
এমনকী, প্রয়োজনে দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্রপ্রয়োগে পিছপা হবেন না-বলেই বক্তৃতায় জানিয়েছেন কিম। তাঁর এই বক্তব্যের রেশ কোরিয়া উপদ্বীপকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে দক্ষিণ কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কিম ১৯৫০-৫৩ কোরিয়ান যুদ্ধের সমাপ্তির ৬৯তম বার্ষিকী উপলক্ষে ভাষণ দিয়েছেন। তখনই তিনি পরমাণু যুদ্ধের কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- পানশালায় বন্দুকবাজের হামলা, এলোপাথাড়ি গুলিতে রক্তে ভাসল চেয়ার-টেবিল, মৃত বহু
কিম বলেছেন, 'আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যে কোনও সংকটে সাড়া দিতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। আমাদের দেশ পরমাণু অস্ত্রের হামলা প্রতিরোধে সক্ষম। লক্ষ্যপূরণে তৎপর। সঠিকভাবে এবং দ্রুততার সঙ্গে আঘাত হানতেও সক্ষম।' কিমের অভিযোগ, 'নিজেদের হামলাবাজ নীতিকে সঠিক বলে প্রমাণ করতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে শেষ করে দিতে চাইছে। উত্তর কোরিয়াকে লক্ষ্য করে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়াও চালাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যা তাদের দু'মুখো নীতি এবং গ্যাংস্টারের মত আচরণের পরিচয়।'
অতিমারী সম্পর্কিত অর্থনৈতিক অসুবিধার মধ্যেও দরিদ্র উত্তর কোরিয়ায় অভ্যন্তরীণ ঐক্যকে বাড়ানোই কিমের এই বক্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার আশঙ্কা, কিম যদিও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের হুমকি দিচ্ছেন। কিন্তু, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বদলে এই অস্ত্র দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধেই প্রথমে ব্যবহার করবেন।
Read full story in English