Advertisment

সিংহাসনে রাজা চার্লস, দেশ শাসনের শপথে কীসের অঙ্গীকার?

বিক্ষোভের চেষ্টার মধ্যেও রাজ্যাভিষেককে স্বাগত জানাতে লন্ডনের রাস্তায় উপচে পড়েছিল জনসমুদ্রের ঢেউ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
coronation.jpg 1

রাজ্যাভিষেক। ছবি সৌজন্য- এএনআই

রাজা চার্লস 'ন্যায়বিচার ও করুণা'র মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের জনগণকে শাসনের শপথ নিলেন। তিনি এমন একটি পরিবেশ গড়ে তোলার শপথ নিয়েছেন, যেখানে সব ধর্ম এবং বিশ্বাসের মানুষ স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর শপথগ্রহণ ঐতিহাসিক রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানের পাঁচটি উপাদানের মধ্যে দ্বিতীয়। যা হাজার বছরেরও বেশি সময়কাল ধরে চলা ঐতিহ্যের অঙ্গ। চার্লস পরে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ চুম্বন করেন।

Advertisment

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, রাজা চার্লসের ঐতিহাসিক মুকুট অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ও তাঁর স্ত্রী। তাঁরা ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে আগেই পৌঁছে ছিলেন। অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক ধনখড় কমনওয়েলথের অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানদের পাশাপাশি বসেছেন। আগের দিন, বাকিংহাম প্যালেসে বিশ্বের তাবড় নেতৃবৃন্দ এবং পরিদর্শনকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য রাজা চার্লস এক সংবর্ধনার আয়োজন করেছিলেন।

সেই সময় তিনি ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। রাজকীয় ব্যস্ততায় পরিপূর্ণ ওই দিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি ড. জিল বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী অক্ষতা মূর্তির সঙ্গে, ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট এইচ.ই. লুইজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভার সঙ্গেও কথা বলেন।

রাজ্যাভিষেকের কয়েক ঘণ্টা আগে, পুলিশ রাজতন্ত্র বিরোধী দল রিপাবলিকের নেতা এবং লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে মিছিলের পথে জড় হওয়া অন্যান্য বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করে। ১৯৫৩ সালে রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয় সিংহাসনে আরোহণের পর ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রাজ্যাভিষেক হল। তার আগে ১৯৩৭ সালে রাজ্যাভিষেক হয়েছিল রানি এলিজাবেথের বাবা ব্রিটেনের তৎকালীন রাজা ষষ্ঠ জর্জের। সাত দশক ধরে ব্রিটেনের রাজপাট সামলেছেন রানি এলিজাবেথ। চার্লসের স্ত্রী, ৭৫ বছরের রানি ক্যামিলাও দুই ঘণ্টার অনুষ্ঠানে মুকুট পরেছেন। এই দিন থেকে তাঁর নামের পাশে 'কুইন কনসর্ট' শব্দগুলো জুড়ে গেল।

আরও পড়ুন- চার্লসের রাজ্যভিষেকে রাজকীয় আয়োজন, একেকজনের একেক ভূমিকা, কে কী করলেন?

এবারের রাজ্যাভিষেকের অনুষ্ঠানের অন্যতম বিশেষত্ব হল, বাইবেল পাঠ করলেন ব্রিটেনের হিন্দু প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এমনিতে গুটিকয়েক রাজতন্ত্র-বিরোধী বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করলেও ব্রিটেনবাসী কিন্তু শনিবার চার্লসের রাজ্যাভিষেক নিয়ে বেশ উন্মাদনাতেই কাটিয়েছেন। লন্ডনের বিভিন্ন জায়গায় রাজ্যাভিষেক দেখাতে টিভির আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে চোখ রাখতে জনসমুদ্র রাস্তায় নেমে এসেছিল। তারই মধ্যে কড়া নিরাপত্তায় ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে ক্যামিলাকে নিয়ে পৌঁছন চার্লস।

Third Charles Coronation Britain
Advertisment