আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক মামলায় সিবিআই এফআইআর নিয়ে সরব হলেন অরুণ জেটলি। শুক্রবার এ নিয়ে ব্লগে জেটলি লিখেছেন, তদন্ত করতে গিয়ে অ্যাডভেঞ্চার করা হচ্ছে, যার ফলে মূল ফোকাস হারাচ্ছে তদন্তের গতিপ্রকৃতি। উল্লেখ্য, দুর্নীতিতে অভিযুক্ত আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও চন্দা কোচর ও তাঁর স্বামী দীপক কোচর। এছাড়াও এ মামলায় নাম জড়িয়েছে ভিডিওকন গোষ্ঠীর বেণুগোপাল ধুতের। এ মামলায় ইতিমধ্যেই কোচর দম্পতিকে আটক করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এহেন পদক্ষেপের পরই সরব হলেন জেটলি।
এ প্রসঙ্গে জেটলি ব্লগে লিখেছেন, পেশাদারি তদন্ত ও তদন্ত করতে গিয়ে অ্যাডভেঞ্চার করা, এই দুইয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। তদন্তে অ্যাডভেঞ্চারের কথা বলতে গিয়ে জেটলি বলেছেন, কোনও প্রমাণ ছাড়াই অনুমান ও আন্দাজের ভিত্তিতে যে কাউকে তদন্তে টেনে আনা হচ্ছে, অথচ তাঁদের সঙ্গে অপরাধের কোনও যোগসূত্র নেই। ওইসব ব্যক্তিদের হেনস্থা করতে, ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এমনটা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, ভিডিওকন ঋণ কাণ্ডে কোচর দম্পতিকে আটক করল সিবিআই
অন্যদিকে, পেশাদারি তদন্তের কথা বলতে গিয়ে জেটলি ব্লগে লিখেছেন, উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে আসল অভিযুক্তদের চিহ্নিত করাই হল পেশাদারি তদন্ত। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য, এই তদন্তে কাল্পনিক ভাবনা, অনুমানের তত্ত্ব খারিজ হয়ে যায়। এই তদন্তে কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা দেখানোর সুযোগ থাকে না। পেশাদারি ধাঁচে তদন্তে নিরীহদের গায়ে আঁচ লাগে না। যাঁরা প্রকৃত দোষী, তাঁদেরকেই চিহ্নিত করা হয়।
পরামর্শের সুরে তদন্তকারীদের উদ্দেশে জেটলি বলেছেন, ‘‘তদন্তকারীদের জন্য আমার পরামর্শ- মহাভারতের অর্জুনের উপদেশ মেনে চলুন- লক্ষ্যে স্থির থাকুন।’’
উল্লেখ্য, চিকিৎসার জন্য মার্কিন মুলুকে রয়েছেন জেটলি। এ সপ্তাহের শেষের দিকেই দেশে ফেরার কথা জেটলির। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বাজেটে থাকতে পারেন অরুণ জেটলি। এ সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অস্ত্রোপচার হয়েছে। মার্কিন মুলুকের হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। অন্যদিকে, জেটলির অসুস্থতার জন্য অর্থমন্ত্রক ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয়েছে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের হাতে।
Read the full story in English