একইসঙ্গে কলকাতা ও লখনউতে ধরা পড়েছে দুটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা। শনিবার রাতে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ গ্রেফতার করে জেএমবির একাধিক সদস্যকে। রীতিমতো অভিযান চালিয়ে এই গ্রেফতারি। প্রাথমিক তদন্তে খবর, জঙ্গিরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশী। এদিকে, কলকাতা পুলিশের জালে যখন জেএমবি জঙ্গি, তখন লখনউতে বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। রবিবার ছুটির শহরে ইউপি পুলিশের এটিএস-এর হাতে ধৃত দুই আল-কায়দা জঙ্গি। শহর সংলগ্ন কাকরিতে দুই সন্দেহভাজন ঘাপটি মেরে আছে। স্থানীয় সূত্রে এই খবর পেয়েই এদিন সকালে অভিযান চালায় অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড। আইপিএস এবং ইউপি পুলিশের আইজি জিকে গোস্বামী এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন। তাতেই এসেছে সাফল্য। এমনটাই সূত্রের খবর।
এদিকে, কলকাতা পুলিশের এসটিএফ সূত্রে খবর, জেএমবি-র তিন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই ওই নিষিদ্ধ সংগঠনের বড় মাথা। ধৃতরা কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে শহরে ঢুকল? কী উদ্দেশে কলকাতায় ঘাঁটি গেড়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জেএমবির এই মডিউলের সঙ্গে আল-কায়দার যোগাযোগ রয়েছে কিনা। সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।
জেএমবি জঙ্গি গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। ৭ বছর আগে খাগড়াগড়-কাণ্ড তারই নিদর্শন। বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা মালদহ ও মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। পরপর একাধিক গ্রেফতারির জেরে পুলিশকর্তাদের অনুমান, এই রাজ্যে বেশ সক্রিয় জেএমবি। তবে এদিন কলকাতা থেকে ধৃতরা জেএমবির নব্য না আদি গোষ্ঠীর সদস্য, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
ইউপি পুলিশ সূত্রে খবর, একসপ্তাহ ধরেই ওই দুই জঙ্গির খোঁজ চলছিল। তাদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে দু’টি প্রেসার কুকার বোমা, একটি ডেটোনেটর, ৬-৭ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকা সিল করে কোথাও বিস্ফোরক পোঁতা কিনা, খতিয়ে দেখেছে বম্ব স্কোয়াড। পুলিশের অনুমান, লখনউ শহরে বড়সড় হামলার ছক ছিল জঙ্গিদের। এটিএস সূত্রে খবর, এক বিজেপি সাংসদ এবং লখনউয়ের কয়েকজন বিজেপি নেতার উপর হামলার পরিকল্পনা ছিল ওই দুই আলকায়দা জঙ্গির। রাজ্য-সহ লখনউয়ে আরও কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন