এটিএম জালিয়াতি কাণ্ডে জালে আরও দুই রোমানিয়ান

এটিএম জালিয়াতি চক্রের আরও দুই মাথাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অ্যাড্রিন ও কর্নেল কনস্ট্যানটাইন নামে দুই রোমানিয়ানকে গ্রেফতার করেছে ইন্দোর পুলিশ।

এটিএম জালিয়াতি চক্রের আরও দুই মাথাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অ্যাড্রিন ও কর্নেল কনস্ট্যানটাইন নামে দুই রোমানিয়ানকে গ্রেফতার করেছে ইন্দোর পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
atm, এটিএম

কীভাবে ওই পুলিশকর্মীর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে (ফাইল ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)

যত দিন গড়াচ্ছে, শহরে এটিএম প্রতারণা কাণ্ডের তদন্তে ততই সাফল্য পাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। জোরকদমে পুলিশি ধরপাকড়ে এবার এটিএম জালিয়াতি চক্রের আরও দুই মাথাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। জালে ধরা পড়ল আরও দুই রোমানিয়ান। অ্যাড্রিন ও কর্নেল কনস্ট্যানটাইন নামে দুই রোমানিয়ানকে গ্রেফতার করেছে ইন্দোর পুলিশ। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লিতে এটিএম থেকে টাকা তোলার একাধিক সিসিটিভি ফুটেজে অ্যাড্রিনকে দেখা গিয়েছে। অ্যাড্রিনের নামে লুকআউট নোটিসও জারি করা হয়েছিল। অন্যদিকে, এ ঘটনায় কর্নেল নামে আরও এক রোমানিয়ানের নাম জড়াল। এই কর্নেল (২৭), অ্যাড্রিনের সহযোগী বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে গতকাল গোরক্ষপুরের কাছে ইন্দো-নেপাল সীমান্তে আটক হওয়া আরেক রোমানিয়ান নানাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এটিএম জালিয়াতির ঘটনায় নানাই  মূল পাণ্ডা বলে মনে করা হচ্ছে। নানার নামেও লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছিল। গতকাল ওই সীমান্তে শুল্ক দফতরের হাতে আটক হয় নানা। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সব মিলিয়ে এটিএম প্রতারণার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট আট জনকে গ্রেফতার করা হল। অন্যদিকে, এ ঘটনায় কৃষ নামে আরেক রোমানিয়ানের নামেও লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: শহরের এটিএম প্রতারণা কাণ্ডে এবার জালে মূল পাণ্ডা

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত অ্যাড্রিন ও কর্নেল দিল্লি থেকেই কারবার চালাত। পরে দিল্লি থেকে তারা লখনউতে আসে। ধৃতরা লখনউয়ে একটি পাঁচতারা হোটেলেও ওঠে বলে জানা গিয়েছে। সেখান থেকেই ইন্দোর আসার ছক কষে তারা। প্রথমে হোটেলের গাড়িতেই ইন্দোর রওনা দেয় তারা। মাঝপথে সেই গাড়ি থামিয়ে একটি ট্র্যাভেল এজেন্সির গাড়ি ভাড়া করে। ৬০ হাজার টাকায় ওই গাড়ি ভাড়া করেছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গাড়ির নম্বর পেয়ে পুলিশ ধৃতদের পিছু নেয়। শুধু তাই নয়, ওই গাড়িতে থাকা জিপিএস পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে ধৃতদের পাকড়াও করে পুলিশ।

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে,  দেশের অন্য শহর থেকেও এ ধরনের প্রতারণার অভিযোগ আসছে। চণ্ডীগড়, পাটনা, জয়পুর, মুম্বইয়ের মতো শহর থেকে এই অভিযোগ আসছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই জালিয়াতি চক্র জাল বিছিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ধৃতদের নেপালের সঙ্গে যোগাযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

ATM kolkata police kolkata news