পুলিশের নজরে স্কিমিং ডিভাইস বিক্রির ওয়েবসাইট

যেসব ওয়েবসাইটে স্কিমিং ডিভাইস বিক্রি হয়, সেখানে কতটা বৈধ ভাবে কেনাবেচা চলে তা খতিয়ে দেখা হবে। এটিএমে স্কিমিং ডিভাইসকে কাজে লাগিয়েই টাকা তুলে নিচ্ছে প্রতারকরা।

যেসব ওয়েবসাইটে স্কিমিং ডিভাইস বিক্রি হয়, সেখানে কতটা বৈধ ভাবে কেনাবেচা চলে তা খতিয়ে দেখা হবে। এটিএমে স্কিমিং ডিভাইসকে কাজে লাগিয়েই টাকা তুলে নিচ্ছে প্রতারকরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
atm, এটিএম

কীভাবে ওই পুলিশকর্মীর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে (ফাইল ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)

ব্যাঙ্ক প্রতারণার ঘটনায় এবার কলকাতা পুলিশের নজরে স্কিমিং ডিভাইস বিক্রির ওয়েবসাইট। স্কিমিং ডিভাইস কতটা বৈধভাবে বিক্রি করা হয়? লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, যেসব ওয়েবসাইটে স্কিমিং ডিভাইস বিক্রি করা হয়, সেখানে কতটা বৈধ ভাবে কেনাবেচা চলে তা খতিয়ে দেখা হবে। উল্লেখ্য, এটিএমে স্কিমিং ডিভাইসকে কাজে লাগিয়েই গ্রাহকদের ভুরি ভুরি টাকা প্রতারকরা তুলে নিচ্ছে। যে ঘটনা সামনে আাসার পরই নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে গড়া হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)।

Advertisment

অন্যদিকে, শহরে ব্যাঙ্ক প্রতারণার ঘটনায় অভিযোগের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮। খোদ কানাড়া ব্যাঙ্কেরই ১০-১২ জন কর্মী এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

শুধু তাই নয়, মল্লিক বাজারে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ও গোলপার্কে কানাড়া ব্যাঙ্কের এটিএমের সঙ্গে এলগিন রোডে কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের এটিএমও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রথম দুই এটিএমে রক্ষী না থাকলেও কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের এটিএমে রক্ষী ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক প্রতারণা তদন্তে কলকাতা পুলিসের বিশেষ দল

Advertisment

পাশাপাশি প্রতারণার ঘটনায় নাম জুড়ল এবার অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কেরও। বেহালা শাখায় অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০,০০০ টাকা তোলা হয়েছে বলে আলিপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন রেডিও জকি নীলাঞ্জনা। প্রতারণার ঘটনা প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে ওই আর জে জানান, "সকালে জিম থেকে বেরিয়ে মোবাইলে দেখি, পাঁচটা মেসেজ এসেছে, যেখানে পাঁচ দফায় ১০,০০০ টাকা করে ৫০,০০০ টাকা তোলা হয়েছে। গোটা বিষয়টি ব্যাঙ্কে জানানোর পর ওরা আামার কার্ডটা ব্লক করেছে। দক্ষিণ দিল্লি থেকে টাকা তোলা হয়েছে।" এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "গত ১৫ দিন আমি এটিএম কার্ড ব্যবহার করিনি। কাউকেই কখনও এটিএম পিন জানাইনি। এটিএমে স্কিমিং ডিভাইস বিষয়টা দুদিন আগেই সংবাদমাধ্যম জেনেছি, আগে তো এটা জানতামই না।"

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক প্রতারণার ঘটনা পরিকল্পনামাফিক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৪-৫ জন যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এ ধরনের প্রতারণা এড়াতে ব্যাঙ্কগুলিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে পুলিশ। এটিএমে মুখোশ পরে কেউ ঢুকছে কিনা সেদিকেও নজর রাখার কথা বলা হয়েছে পুলিশের তরফে। পাশাপাশি গ্রাহকদেরও আরও সচেতন হতে পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।

cyber crime Cyber Security ATM kolkata news digital india kolkata police New Delhi