এবারে দুর্গাপুজোয় পদ্মসহ সমস্ত ফুলের দাম আকাশছোঁয়া। ষষ্ঠীতে চড়ল ফুলের দর। সপ্তমীর সকাল থেকে আরও অধিক মূল্যে বিক্রি হবে পদ্ম, গাঁদা, অপরাজিতা, বেলপাতার মালা, রজনীগন্ধা সহ আরও সমস্ত প্রয়োজনীয় ফুল। কিন্তু কেন বাড়ল দাম? এর জন্য কি দায়ী মরশুম?
সপ্তমীর দিন থেকে আরও চড়বে ফুলের দাম। কারণ তারপর থেকেই ফুলের চাহিদাও বেড়ে যাবে। অষ্টমী, সন্ধিপূজায় মূলত পদ্মের চাহিদা বেশি। পদ্মের জোগান দেওয়া রীতিমত সমস্যা হয়ে উঠেছে এ বছর। কারণ এবারের পুজো প্রায় আশ্বিনের শেষে। অন্যদিকে পদ্মচাষও শেষ পর্যায়। যার ফলে পদ্মের বিপুল চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে কালঘাম ছুটেছে চাষীদের। আর সেই কারণেই চড়চড় করে বেড়েছে ফুলের দাম।
টাটকা পদ্মের দাম আজকে ছিল ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। ফুলের বাজার মল্লিক ঘাটে পদ্ম কিলো দরে নয়, ১০০ পিস পিছু বিক্রি হয়। যার দাম সপ্তমীর সকালে গিয়ে দাঁড়াবে ১৫০০ টাকায়। কিন্তু যেগুলি চেম্বার করে রাখা ছিল, সেগুলির দাম তুলনায় অনেক কম। মোটামুটি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। তবে সে ফুল যে টাটকা নয়, তা স্পষ্ট। কালো দাগ ধরেছে সে ফুলে। রজনীগন্ধা ফুলের দাম ১০০ টাকা কিলো, দোপাটি ১০০ টাকা কিলো, গাঁদার ঝুরো ৮০ থেকে ৯০ টাকা কিলো। রজনীর চেন কিলো পিছু ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। এবছর পদ্মের সঙ্গে গাঁদার দামও আকাশছোঁয়া। কুঁড়ির দামই ৩৫০ টাকা কিলো।
ফুলের পাহাড়, দাম পাহাড়প্রমাণ। ছবি: অরুণিমা কর্মকার
পুজোর আগে সাইক্লোন তিতলির প্রকোপে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি ফুলের। কিন্তু গত বছর যেখানে একটি পদ্মের দাম ছিল আট থেকে দশ টাকা, সে পদ্মের দাম এবছর প্রায় ২০ টাকা। ২০১৭ সালে দুর্গাপুজায় ১০০ পিসের দাম ছিল ৮০০ টাকা, সেখানে ষষ্ঠীর দিনই ১০০ পিস পদ্মের দাম গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১,২০০ টাকায়। আজকে টাটকা ফুলের দাম কম ছিল, তাই ষষ্ঠীতেই বেড়ে যায় পদ্মের দাম।
পশ্চিম বঙ্গের বীরভূম, বর্ধমান ইত্যাদি জেলার থেকে পদ্ম আমদানি করা হয় কলকাতায়। পুজোর নিয়ম মেনে মূলত এই সময় পদ্মের ব্যাপক চাহিদা থাকে। "মায়ের আশীর্বাদে" ঝোড়ো আবহাওয়ায় ফুলের বাজারে কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মল্লিক ঘাট ফুল বাজার পরিচালনা সমিতির গৌতম সমাদ্দার। এদিকে কালকে ঢল নামবে ফুল বাজারে, সেকারণে আজ থেকে হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ডের অনুমতিতে নো এন্ট্রি করে দেওয়া হয়েছে ঐ এলাকা।