হাওড়ার ব্যাঙ্ক কর্মী খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ। ওই ব্যাঙ্ক কর্মীকে খুন করার পর তাঁর দেহ খণ্ড খণ্ড করে একটি বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, প্রধান অভিযুক্ত শেখ শামসুদ্দিন এবং তার বাবা মনসুর আলি গত সপ্তাহে স্বীকার করেছে যে তারা ডোমজুরে পার্থ চক্রবর্তী (২৭) নামে ওই কর্মীকে খুন করে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, শামসুদ্দিনের পরিবারের আরও কিছু সদস্য এই ঘটনায় জড়িত। জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার গ্রেফতার হয় শামসুদ্দিনের স্ত্রী রোজিনা বেগম, মা জে বেগম, ভাই শেখ জসিমউদ্দিন এবং ভাইয়ের স্ত্রী রাবিয়া বেগম।
আরও পড়ুন: গোয়ার আবাসনে লুকিয়ে মহিলাদের ঘুমোতে দেখা ‘চোর’ গ্রেফতার
এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, "খুনটা যখন হয়, সবাই বাড়িতেই ছিল। অথচ সবাই বলছে তারা খুন হওয়ার পর সব জেনেছে। তার পরেও পুলিশকে না জানিয়ে সবাই মিলে লেগে পড়ে রক্ত পরিষ্কার করতে।" সূত্রের খবর, রোজিনা গোটা ঘটনাটা পুলিশকে জানাতে চাইলে বাকিরা তাকে নীরব থাকতে বাধ্য করে।
বৃহস্পতিবার প্রধান দুই অভিযুক্তের সাহায্যে পুলিশ খুনের পুনরাভিনয় করে, এবং তারা পুলিশকে দেখায়, কীভাবে পার্থকে বাড়ির মধ্যে এনে খুন করে।
পার্থ খুন হন ৩০ অগাস্ট। মৃত্যুর পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে স্পঞ্জ এবং কাপড়ে মুড়ে বস্তায় ভরা হয়। শামসুদ্দিনের গ্রেফতারের পর পুলিশ তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ৩.৫ লক্ষ টাকা, যা আদতে পার্থর কাছে ছিল।