আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর ‘পুজোর উপহার’ পাওয়া নিয়ে সংশয় বাড়ল পুজো কমিটিগুলির মধ্যে। এ বছর পুজোয় শহর ও জেলার পুজো কমিটিগুলিকে ১০,০০০ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আর্থিক অনুদান ঘিরেই এবার জট বাড়ল। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত পুজো অনুদান দেওয়ার উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করা হল কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত নতুন করে কোনও পুজো কমিটিকে ওই ১০,০০০ টাকার অনুদান দেওয়া যাবে না বলেই এদিন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। শুধু তাই নয়, কোন খাত থেকে এই টাকা পুজো কমিটিগুলোকে দেওয়া হচ্ছে, সে ব্যাপারে নথিপত্র জমা দিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর পুজো অনুদান দেওয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চ উষ্মা প্রকাশ করেন। তাঁরা প্রশ্ন করেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করার পরও কীভাবে গত মাসের ২৪ তারিখ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়া শুরু করল সরকার? উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত ওই অনুদান কলকাতার একডালিয়া এভারগ্রিন সহ বেশ কয়েকটি পুজো কমিটিকে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতে জানিয়েছেন যে, ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ প্রচারের জন্যই পুজো কমিটিগুলিকে এই ১০,০০০ টাকার অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন, পুজো কমিটিগুলোকে ঠিক কী উপহার দিতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?
গত ১০ সেপ্টেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রাক পুজো বৈঠকে শহরের ৩,০০০ এবং গ্রামবাংলার ২৫,০০০ পুজো কমিটিকে বিশেষ অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের সমস্ত সার্বজনীন পুজো কমিটিগুলিকে ১০,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, জেলার ২৫,০০০ পুজো কমিটিগুলিকেও ১০,০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সব মিলিয়ে রাজ্যের ২৮,০০০ পুজোর জন্য ২৮ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানান মমতা। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “টাকাটা নেহাত কম নয়, ২৮ কোটি টাকা লাগবে। যাই হোক, মোটা কাপড় মোটা ভাত দেওয়ার ক্ষমতা তো আছে।”