Advertisment

আন্দোলন শেষ, কিন্তু মেডিক্যাল কলেজের উন্নতি নিয়ে এখনও নীরব কর্তৃপক্ষ

ছাত্রদের অভিযোগ, স্রেফ ঘোরানো হচ্ছে তাঁদের। কর্তৃপক্ষের আদৌ কোনও হেলদোল নেই। সেই একই হস্টেলে রয়েছেন পুরনো বর্ষের ছাত্ররা। আজ সকালেও অধ্যক্ষ উচ্ছল কুমার ভদ্রের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন তাঁরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Medical college Boys hostel Express Photo Shashi Ghosh

ফাইল ছবি।

প্রতিশ্রুতিই সার, এখনও কোনও সুরাহা হল না মেডিক্যালের কলেজের ছাত্রদের। গত ২৩ জুলাই সকালে ডাক্তারি পড়ুয়াদের সমস্ত দাবি লিখিত ভাবে মেনে নেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। বলা হয়, নতুন হস্টেলের দুটি তলা বরাদ্দ করা হবে পুরনো বর্ষের ছাত্রদের জন্য। পাশাপাশি মেরামত করা হবে পুরনো ভেঙে পড়া হস্টেলও। আবর্জনা পরিস্কারেরও আশ্বাস দিয়েছিলেন তাঁরা। তবে এসবের কোথায় কী?

Advertisment

পুরনো হস্টেল মেরামতির কাজ শুরু হয়নি এখনও। হস্টেল কাউন্সিলেরও কোনও খবর নেই এখন পর্যন্ত। সূত্রের খবর, একাধিকবার প্রিন্সিপালের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও কোনও জবাবই মিলছে না এখনও। ছাত্রদের অভিযোগ, স্রেফ ঘোরানো হচ্ছে তাঁদের। কর্তৃপক্ষের আদৌ কোনও হেলদোল নেই। সেই একই হস্টেলে রয়েছেন পুরনো বর্ষের ছাত্ররা। আজ সকালেও অধ্যক্ষ উচ্ছল কুমার ভদ্রের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সদুত্তর মেলেনি আজও।

আরও পড়ুন: মিলবে নতুন হস্টেল, লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে অনশন ভাঙলেন মেডিক্যালের পড়ুয়ারা

প্রসঙ্গত, ২৩ জুলাই বিকেলেই অধ্যক্ষের পদে ফেরেন উচ্ছলবাবু। তবে সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই আবার এনআরএস হাসপাতালে বদলি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তাঁর, কারণ ধোঁয়াশেতেই। বারংবার এমন রদবদলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কলেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে। চিকিৎসক, ছাত্র-সহ একাংশের মতে, এই ধরনের কাজে কলেজের দীর্ঘদিনের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এবং ছাত্রদের আরও অভিযোগ, রাজনৈতিক মদতেই ক্ষতি হচ্ছে কলেজের। হস্টেল কাউন্সেলিং নিয়েও কর্তৃপক্ষ নীরব ওই একই কারণে। তাঁদের মতে, এখনও নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছেন নির্মল মাঝি। তবে তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন শীঘ্রই কোনও সুরাহা না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন ছাত্ররা। এদিকে পরীক্ষার দিনও এগিয়ে আসছে চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রদের। সব মিলিয়ে মেডিক্যালে পরিস্থিতির জট কাটছে না এখনও।

Advertisment