তরুণ-তরুণীর উপর নীতি পুলিশদের হামলার ছবি যতই ভাইরাল হোক না কেন, কলকাতা মেট্রোর সিসিটিভি ফুটেজে তেমন কিছুই ধরা পড়েনি। কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘আমরা তন্নতন্ন করে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছি। অস্বাভাবিক কিছুই আমাদের চোখে পড়েনি। সে সময়ে ডিউটিতে থাকা আরপিএফ কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে, কেউই তেমন কিছু দেখেনি।’’ ঘটনার পরে মেট্রো থেকে যাঁরা বেরিয়ে এসেছিলেন, তাঁদের সকলের চোখমুখও স্বাভাবিক ছিল বলে জানিয়েছেন মেট্রোর সিপিআরও। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এ ঘটনায় কারা যুক্ত তার কোনও সন্ধানও তাঁরা পাননি। ‘‘ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি, কিন্তু তিনিও এ ঘটনার কোনও ভিডিও ফুটেজ বা কোনও ফোন নম্বর দিতে পারেননি।’’ তবে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন, আলিঙ্গনের জন্য গণপ্রহার: সরব নেটিজেনরা
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক জানিয়েছেন, ভিড় এড়ানোর জন্য ওই তরুণ-তরুণী প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সামনে ঘনিষ্ঠভাবে দাঁড়িয়েছিলেন। ভিড় থেকে কিছুটা আড়াল করার জন্যই সঙ্গিনীর কাঁধে হাত দিয়েছিলেন ওই তরুণ। সেসময়ে বেশ কিছু অবাঞ্ছিত মন্তব্যের সামনে পড়তে হয় ওই যুগলকে, জানিয়েছেন ওই সাংবাদিক। ‘‘এক প্রবীণ ব্যক্তি প্রথমে বলেন, তোমরা পার্ক স্ট্রিটের পাবে যাচ্ছ না কেন? অন্য একজন এই দুজনকে ঘর ভাড়া করতে বলেন। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম ঝামেলা বেশিদূর গড়াবে না, কারণ ওই দুজন শুরু দিকে শান্তই ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে মেয়েটা আর সামলাতে না পেরে জিজ্ঞাসা করে যে, ওকে গার্ড করাতে কী সমস্যা হচ্ছে। এরপরেই ঝামেলা শুরু হয়।’’
ওই তরুণ-তরুণী দমদম স্টেশনে নামার পর সাত আটজন বয়স্ক ব্যক্তি দুজনের গায়ে হাত তুলতে শুরু করে। প্রথমে তরুণটির উপর চড়াও হয় হামলাকারীরা। তাকে বাঁচাতে গিয়ে জনতার হাতে আক্রান্ত হয় মেয়েটিও। এ ঘটনায় এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
আরও পড়ুন, কলকাতা মেট্রোয় নীতি পুলিশের থাবা প্রসঙ্গে