হিন্দু হস্টেলের দাবিতে শেষে আমরণ অনশনে প্রেসিডেন্সির পড়ুযারা

মিছিল মিটিং, অবস্থান বিক্ষোভে কোনও সুরাহাই মিলল না। অবশেষে অনশনের পথই বাছলেন প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। হিন্দু হস্টেলের দাবিতে গত ১ অক্টোবর থেকে অনশনে বসেছেন ১০ জন পড়ুয়া। 

মিছিল মিটিং, অবস্থান বিক্ষোভে কোনও সুরাহাই মিলল না। অবশেষে অনশনের পথই বাছলেন প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। হিন্দু হস্টেলের দাবিতে গত ১ অক্টোবর থেকে অনশনে বসেছেন ১০ জন পড়ুয়া। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
presi

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশনরত পড়ুয়ারা। ছবি- প্রিয়াঙ্কা দত্ত

মিছিল, মিটিং, অবস্থান, বিক্ষোভে কোনও সুরাহাই মিলল না। অবশেষে অনশনের পথই বাছলেন প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। হিন্দু হস্টেলের দাবিতে গত ১ অক্টোবর থেকে অনশনে বসেছেন ১০ জন পড়ুয়া। বুধবার সকালে অনশন মঞ্চে দেখা করতে আসেন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া ও রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার। সেখানেই রেজিস্ট্রার সামগ্রিকভাবে জানান, হিন্দু হস্টেলের যে অংশের দাবি ছাত্ররা করছেন তা সম্ভবত ৩০ নভেম্বরের মধ্যে খুলে দেওয়া হতে পারে। যদিও কোনও নিশ্চয়তা না মেলায় এবং কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত কোনও আশ্বাস না পাওয়ায় আন্দোলন জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পড়ুয়ারা।

Advertisment

আরও পড়ুন: জটিলতা বাড়ছে প্রেসিডেন্সি চত্বরে, হিন্দু হস্টেল নিয়ে বিব্রত রাজ্যপালও

বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় চত্তরে একটি জমায়েতের ডাক দেন প্রেসিডেন্সির আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। সেখানে কলেজের ডিন অরুণ কুমার মাইতি আসেন এবং বৈঠক করেন ছাত্রদের সঙ্গে, যদিও কোনও ফল হয়নি এতে। সূত্রের খবর, ওয়ার্ড ১ এবং ২, অর্থাৎ বিল্ডিং ১-এর কাজ এখনও শেষ হয়নি। সেখানে জল, নিকাশি ব্যবস্থা, লাইট লাগানো ইত্যাদির মতো একাধিক কাজ এখনও বাকি।

অন্যদিকে, যতক্ষণ না পিডব্লুডি ছাত্রদের থাকার ছাড়পত্র দিচ্ছে, ততক্ষণ হিন্দু হস্টেল হস্তান্তর করা সম্ভব নয় বলেই স্পষ্ট জানানো হয়েছে কলেজের তরফে। যদিও পড়ুয়াদের অভিযোগ, তাঁরা নিজেরাই দেখে এসেছেন যে, পি ডব্লু ডি-র ৯৭ শতাংশ কাজ প্রায় শেষ এবং তাঁরা এও জানেন যে এখন হস্টেল হস্তান্তরের সমস্তটাই নির্ভর করছে কলেজ কর্তৃপক্ষের ওপর। যদিও কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, কাজ শেষ হতে নভেম্বর বা তার বেশিও সময় লাগতে পারে। কাজেই পড়ুয়াদের অনশন তুলে নেওয়ার কথা বলা হয় কর্তৃপক্ষের তরফে।

Advertisment

সূত্রের খবর, এদিন দুপুরে তদন্ত কমিটির চিঠি পেয়েছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৩৫ জন আন্দোলনরত পড়ুয়া। কিসের এই তদন্ত কমিটি? এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দাবি, "বার্ষিক সমাবর্তনের আগের দিন, অর্থাৎ ১০ সেপ্টেম্বর, মেন গেটে তালা ঝুলিয়ে সমস্ত কাজ বন্ধ করে প্রেসিডেন্সিতে যে অস্বস্তিকর, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তার তদন্তেই গত সপ্তাহে উপাচার্য এবং ডিন সহ ছজন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কে বা কারা এই কাজ করেছিল, তার সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের জন্যই ছাত্রদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।" সব মিলিয়ে, প্রেসিডেন্সির চাপানউতোর এখনও অব্যাহত।

Education