/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/10/abhishek-kar-759.jpg)
পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেন অভিষেক কর।
"ভুল হয়েছে", একথাই স্বীকার করেছেন সেই রক্ষক। মহালয়ার রাতের পার্ক স্ট্রিট এলাকায় পুলিশি অভব্যতার শিকার হন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র। অভিষেক কর নামের ওই ছাত্র টাই গ্রাউন্ডে নির্জন পথ ধরে হাঁটছিলেন বলে পুলিশকর্মীর মুখ থেকে থেকে ধেয়ে এসেছিল কু-মন্তব্য। শুধু তাই নয়, সেই পুলিশকর্মীর হাতের চড় জুটেছিল অভিষেকের কপালে। সে ঘটনার জেরেই গতকাল ময়দান থানার ওসির সামনে অভিষেকের কাছে সেই পুলিশকর্মী ক্ষমা চান বলে জানিয়েছেন স্বয়ং অভিষেক। তবে শুধু ক্ষমা চাওয়াতেই ক্ষান্ত থাকতে চান না ওই পড়ুয়া। তাঁর দাবি, ওই পুলিশকর্মীকে শাস্তি দিতে হবে। সে কারণেই এবার এ ঘটনায় এফআইআর দায়ের করলেন অভিষেক।
এফআইআর দায়ের প্রসঙ্গে ওই ছাত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "আমি চাই, ওই পুলিশকর্মীর শাস্তি হোক। সেজন্যই এফআইআর দায়ের করেছি। গতকাল স্পিড পোস্টে এফআইআর পাঠিয়ে দিয়েছি।" অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যেই থানার তরফে অভিষেককে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনা প্রসঙ্গে ডিসি (সাউথ) মিরাজ খালিদ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে এটুকুই বলেন, যে তদন্ত করে সবটা দেখা হবে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/10/fir-abhishek-759.jpg)
উল্লেখ্য, এ ঘটনায় সে রাতে বাইকে তিন পুলিশকর্মী ছিলেন। তবে তাঁদের মধ্যে একজন পুলিশকর্মীই মূল অভিযুক্ত বলে জানিয়েছেন অভিষেক। তিনিই চড় মারেন ও গালিগালাজ দেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন, রাতের শহরে পুলিশি অভব্যতার শিকার যুবক!
অভিষেক আরও বলেন, "গতকাল সন্ধ্যেবেলা ময়দান থানার ওসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে থানায় বন্ধুদের সঙ্গে যাই। সেখানে এ ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন ওসি। ওই পুলিশকর্মীও আমার কাছে ক্ষমা চান। ওসি মিটমাট করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমি অবশ্য তা মানিনি।" গতকাল ময়দান থানার ওসির কাছে বেশ কয়েকটি দাবিও রাখেন অভিষেক। এ ঘটনায় ময়দান থানার তরফে লিখিত ভাবে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান তিনি। একইসঙ্গে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানান।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, "আমি যে পথ ধরে সেদিন হাঁটছিলাম, সে পথে হাঁটায় যদি কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকে, তবে তা সকলকে জানানো হোক।" একইসঙ্গে তিনি বলেন, "সমকামিতা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। তাছাড়া, কাউকে না জেনেই তাঁর হাবভাব দেখে সমকামী ধরে নিয়ে এ ধরনের হেনস্থা রুখতে পুলিশের সঙ্গে ওয়ার্কশপ করতে চাই। পুজোর পর এ নিয়ে কথা বলব।"