অবশেষে চতুর্থীর দিন সুখবর শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দুর্বল হচ্ছে নিম্নচাপ, আজ থেকে আপাতত আর কোনও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে কোথাও কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। শীঘ্রই কালো মেঘ সরিয়ে চেনা মেজাজে ফিরবে শরতের আকাশ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতোই সকাল থেকে আকাশ আংশিক মেঘলা। মাঝেমধ্যেই কলকাতার আকাশে দেখা মিলছে সূয্যিমামার। গত কয়েকদিনের ঝিরঝিরে বৃষ্টির পর এদিন অনেকটাই স্বস্তিতে শহরবাসী। তবে আপাতত আগামী ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা এখনও জারি রয়েছে।
গত সপ্তাহেই আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল যে, পুজোর মুখে শহরে বৃষ্টি হলেও, পুজোর মূল দিনগুলোতে আকাশ পরিষ্কার থাকবে। এদিকে, এ বছর মহালয়া থেকেই ঠাকুর দেখা শুরু করেছে তিলোত্তমা। দ্বিতীয়া, তৃতীয়াতে বৃষ্টির জেরে সন্ধেয় শারদ আনন্দে শামিল হতে খানিকটা বেগ পেতে হয়েছে দর্শনার্থীদের। গতকাল তৃতীয়ার সন্ধেতেও ঝিরঝিরে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই অনেকে মণ্ডপমুখী হয়েছেন। কেউ কেউ আবার শেষবেলায় পুজোর কেনাকাটা সেরেছেন ছাতা মাথায় নিয়েই।
আরও পড়ুন, ‘তিতলি’র তাণ্ডবে অন্ধ্রে মৃত সাত, ওড়িশায় মৃত এক
অন্যদিকে, ‘ঘূর্ণিঝড়’ তিতলির হাত থেকে এ রাজ্য বরাত জোরে বেঁচে গেলেও রেহাই পায়নি পড়শি রাজ্য ওড়িশা ও অন্ধ্র প্রদেশ। ঘূর্ণিঝড়ের পর ওই দুই রাজ্যে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। যার জেরে গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ১৫। মৃতদের মধ্যে অন্ধ্র প্রদেশের ১২ জন ও ওড়িশার তিন জন বলে জানা গিয়েছে। পশ্চিম বঙ্গেরও এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তি পরিস্থিতির তদারকিতে জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। এনডিআরএফ দল, ওড়িশার বিপর্যয় বাহিনী হাতে হাত মিলিয়ে উদ্ধারকাজ করছে। এখন পর্যন্ত ১,২৭,২৬২ জনকে উদ্ধার করে ৯৬৩টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।