Advertisment

কোটায় শিশু মৃত্যু: পূর্বতন বিজেপি সরকারকে দোষা অনুচিত, মন্তব্য শচিন পাইলটের

এদিন শচিন পাইলট বলেন, ১৩ মাস ক্ষমতায় থাকার পর এ ঘটনার জন্য বিজেপি সরকারকে অভিযুক্ত করার কোনও মানে হয় না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

শনিবার সকালে জেকে লোন হাসপাতাল পরিদর্শনে যান রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী।

রাজস্থানের কোটায় শিশু মৃত্যুর ঘটনায় সে রাজ্যের পূর্বতন বিজেপি সরকারকে দোষ দিতে নারাজ বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী তথা রাহুল-ঘনিষ্ঠ শচিন পাইলট। গত বছর ১ ডিসেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত কোটার জেকে লোন হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ১০৭ শিশুর। এই ঘটনায় দেশ জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এমতাবস্থায় শুক্রবার রাজস্থানে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকারের দুই মন্ত্রী পরিকাঠামোর অভাবে শিশু মৃত্যুর ঘটনার দায় চাপায় পূর্বতন বিজেপি সরকারের উপর। কিন্তু, এদিন শচিন পাইলট বলেন, ১৩ মাস ক্ষমতায় থাকার পর এ ঘটনার জন্য বিজেপি সরকারকে অভিযুক্ত করার কোনও মানে হয় না।

Advertisment

সচিন পাইলটকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, "আমার মনে হয় এ ঘটনাটিকে আমাদের আরও সহনাভূতি ও সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখা উচিত ছিল। ১৩ মাস সরকারে থাকার পরও পূর্বতন সরকারের ব্যর্থতাকে দোষ দেওয়ার কোনও মানে হয় না। দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে"। উল্লেখ্য, অতীতেও একাধিকবার রাজস্থানের অশোক গেহেলট সরকারকে বিঁধেছেন পাইলট।

শনিবার সকালে জেকে লোন হাসপাতাল পরিদর্শনে যান রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। সে সময় কেন্দ্রের অকটি বিশেষজ্ঞ দলও আসে হাসপাতাল পরিদর্শনে। লোকসভার অধ্যক্ষ তথা কোটা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ ওম বিড়লাও শিশুর পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এএনআই-কে তিনি জানিয়েছেন, "আমি মৃত শিশুদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। এই শোকের মুহূর্তে আমরা তাঁদের সঙ্গে আছি। আমি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীকে দু'বার চিঠি লিখে চিকিৎসা সংক্রান্ত সুযোগ সুবিধার দিকটি উন্নত করার অনুরোধ জানিয়েছি"।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রঘু শর্মা হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে বলেন, "এই মৃত্যুর পিছনে চিকিৎসাজনিত কোনও ত্রুটি নেই, তবে প্রশাসনিক স্তরে অবহেলা রয়েছে। এ জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।" রাজ্যের পূর্বতন বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "ওরা পাঁচ বছর ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু, কংগ্রেস সংরকার ২০১২ সালে ৬০টি বেডের জন্য যে আর্থিক অনুদান দিয়েছিল, তা কোথায় গেল? যদি ৬০টি বেড থাকত, সে ক্ষেত্রে আমাদের মোট বেড সংখ্যা হত ১০২। তাহলে আর একটি বেডে দুটি শিশুকে রাখতে হত না।"

Read the full story in English

rajasthan
Advertisment