একবিংশ শতাব্দীকে ভারতের শতাব্দীতে পরিণত করতে সেজে উঠছে দেশ। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব হস্তান্তরিত করার আগে বিদায়ী ভাষণে রবিবার এমনটাই জানালেন রামনাথ কোবিন্দ। ভারতের স্পন্দনশীল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার শক্তিকে অভিবাদন জানিয়ে তিনি জানান, এর শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকা ভারতীয় সংস্কৃতির বিশেষত্ব।
তিনি বলেন, 'রামনাথ কোবিন্দ কানপুর দেহাত জেলার পারউনখ গ্রামে এক অতি সাধারণ পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। তিনি আজ আপনাদের, সকল দেশবাসীকে সম্বোধন করছেন, এর জন্য আমি আমাদের দেশের প্রাণবন্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার শক্তিকে প্রণাম জানাই।' দেশের সমস্ত নাগরিক ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রতি তাঁর 'গভীর কৃতজ্ঞতা' প্রকাশ করে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি তাঁর মেয়াদকালে সমাজের সর্বস্তরের থেকে পূর্ণ সহযোগিতা, সমর্থন এবং আশীর্বাদ পেয়েছেন।
তাঁর কার্যকালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজের গ্রামে সফরের কথা স্মরণ করেন রামনাথ কোবিন্দ। কানপুরের যে স্কুলে তিনি পড়তেন, সেই স্কুলের শিক্ষকদের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিয়েছিলেন এবং তাঁদের বলেছিলেন যে এটি তাঁর জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহুর্তগুলোর একটি হয়ে থাকবে। আবেগের সুরে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বলেন, 'শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকা আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতির বিশেষত্ব। আমি তরুণ প্রজন্মকে তাঁদের গ্রাম, শহর এবং তাঁদের স্কুল এবং শিক্ষকদের সঙ্গে যুক্ত থাকার ঐতিহ্যকে অব্যাহত রাখতে অনুরোধ করব।'
আরও পড়ুন- বিজেপির হিন্দুত্ব না নীতীশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি, বিহার সরকারে জোর টানাপোড়েন
বিদায়ী ভাষণে দেশের মনীষীদের অবদানকেও স্মরণ করেন কোবিন্দ। তিনি বলেন, 'তিলক এবং গোখলে থেকে ভগৎ সিং, নেতাজি, জওহরলাল নেহেরু, সর্দার প্যাটেল, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি, সরোজিনী নাইডু, কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়- মানবজাতির ইতিহাসে এত মহান মানসিকতার সমন্বয় অন্য কোথাও ঘটেনি। ঊনবিংশ শতাব্দীতে দেশে অনেক বিদ্রোহ হয়েছিল। নতুন ভোরের আশা তৈরি করা সেই নায়কদের অনেকের নামই দেশের অনেক আগেই ভুলে গেছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবদানকে সাম্প্রতিক সময়ে তুলে ধরা হয়েছে।' সোমবারই পার্লামেন্টের সেন্ট্রাল হলে নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন দ্রৌপদী মুর্মু। শুক্রবার তিনি বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন।
Read full story in English