৭ আগস্ট ২০২০। স্থান- কোঝিকোরে বিমানবন্দর। মোট ১৫টি বিমান ওঠা-নামা করেছে সেই দিনে। কিন্তু ভাগ্য সহায় হল না দুবাই থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের। রানওয়েতেও নেমেও ভেঙে পড়তে হল খাদে। তদন্তে কিন্তু উঠে এল আরও বেশ কিছু তথ্য। যা ভাবিয়ে তুলছে তদন্তকারী অফিসারদের। নয়া সূত্র ধরেই এবার শুরু হয়েছে বিমান ক্র্যাশের অনুসন্ধান।
গোটা বিষয়টি এই মুহুর্তে পর্যালোচনা করছে অসামরিক বিমান পরিবহনের এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)। তথ্য মারফৎ জানা যায় যে ওই একই দিনে কোঝিকোড় বিমানবন্দরে অবতরণের সময় সমস্যার সম্মুখীন হয় বেঙ্গালুরু থেকে আসা একটি ইন্ডিগো ফ্লাইট। তবে কোনওরকমে ৫ টা ৫৮ মিনিট নাগাদ সফলভাবে ল্যান্ডিং করতে সক্ষম হয় ওই বিমানটি। তবে ল্যান্ডিং করার আগে অনেকবার আকাশেই ওঠানামা করতে থাকে ইন্ডিগোর বিমান। কিন্তু তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায় প্রথম থেকেই ল্যান্ডিং নিয়ে সমস্যা তৈরি হয় এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের।
আরও পড়ুন, বিমান দুর্ঘটনা তদন্তে কেন ‘ব্ল্যাক বক্স’ এত গুরুত্বপূর্ণ?
তদন্তকারীরা জানতে পারেন আরব সাগরের দিক থেকে এসে প্রথমে পূর্ব দিক থেকে ল্যান্ড করতে চায় উড়ানটি। কিন্তু প্রথম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় ফের আকাশে এক চক্কর কাটে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। এরপর আবার পশ্চিমদিকে থেকে অবতরণ করতে শুরু করে, যা বিমানবন্দরে নামার ক্ষেত্রে সাধারণ পথ নয়। অবশেষে রানওয়ের বেশ কিছুটা আগে থাকতেই ল্যান্ড করে বিমানটি। ফলত এই দুর্ঘটনা এবং পাইলট-সহ ১৮ যাত্রীর মৃত্যু।
এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) তরফে জানান হয় প্রথমবার ল্যান্ডিং ব্যর্থ হতেই তাঁরা পরবর্তী যে ফ্লাইট ছিল তাকে টেকওফের নির্দেশ দেয় এবং তা সফল ভাবেই হয়। ইন্ডিগো সংস্থার তরফে যদিও কিছু জানান হয়নি।
তবে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটের ক্ষেত্রে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) তরফে জানান হয় যে আবহাওয়া খারাপ কিংবা ল্যান্ডিংয়ে সমস্যার বিষয়ে কিছু জানান হয়নি তাঁদের। যদিও তদন্তকারীরা উদ্ধারকৃত ব্ল্যাক বক্স থেকে আরও তথ্য অনুসন্ধন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন