Advertisment

কৃষ্ণ জন্মভূমি মামলা: শাহী ইদগাহ মসজিদের জমির মালিকানা আবেদনের অনুমতি মঞ্জুর

বিরোধটি মূলত ১৩.৩৭ একর জমির মালিকানা নিয়ে। আবেদনকারীদের দাবি- ওই জমিতে দেবতা শ্রী কৃষ্ণ বিরাজমান।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Krishna Janmabhoomi case Mathura court Shahi Idgah Mosque land

মথুরার শাহী ইদগাহ মসজিদ।

শাহী ইদগাহ মসজিদ নিয়ে এবার বিতর্ক বাড়ল। শাহী ইদগাহ মসজিদ এলাকার মালিকানা দাবি করেছিল শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি ট্রাস্ট এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি সংগঠন। মামলা হয় মথুরার জেলা আদালতে। সেই আবেদম গ্রহণের অনুমতি দিয়েছে মথুরার জেলা আদালত। ইদগাহটি শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমির পাশে, যেখানে দেবতা কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়।

Advertisment

বিরোধটি মূলত ১৩.৩৭ একর জমির মালিকানা নিয়ে। আবেদনকারীদের দাবি- ওই জমিতে দেবতা শ্রী কৃষ্ণ বিরাজমান।

জেলা ও দায়রা বিচারক রাজীব ভারতীর এই আবেদনের অনুমতি দেওয়ার অর্থ হল দেওয়ানী মামলাটির শুনানি এখন নিম্ন আদালতে হবে। রাজস্ব রেকর্ড খতিয়ে দেখার পাশাপাশি, আদালতকে শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংস্থা ও ট্রাস্ট মসজিদ ইদগাহ-র মধ্যেকার ১৯৬৮ সালের 'সমঝোতা চুক্তি'টির বৈধতাও নির্ধারণ করতে হবে। মন্দির পরিচালনা কর্তৃপক্ষ যা আইনের অধীনে একটি নিবন্ধিত সমিতি এবং যেখানে মন্দির রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জমির বিতর্কিত অংশ ইদগাহকে প্রদান করে।

এখন, বেসরকারী সংগঠন এবং মন্দির ট্রাস্ট অভিযোগ করে যে কোনও আপস বৈধ নয়, ইদগাহকে দেওয়া জমি তারা ফিরিয়ে দিক। কারণ ইদহাগর জমি ট্রাস্টেরই। শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি ট্রাস্ট 1958 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল

ইদগাহের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে, সোসাইটি ট্রাস্টের এজেন্ট এবং সোসাইটির প্রধান- ট্রাস্ট নিজেই নিয়োগ করেন। সমঝোতা চুক্তিও পরবর্তীতে নিবন্ধিত হয়।

গত বছর, অ্যাডভোকেট রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী সহ আরও ছয়জন সিভিল জজ আদালতের মামলায় প্রথম দাবি করেছিলেন যে ইদহাগর জমি আসলে শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি ট্রাস্টের। সিভিল জজ আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন যে, এই আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় কারণ আবেদনকারীদের কেউই মথুরার নয়, যারা এই ইস্যুতে বৈধ অংশীদার হতে পারে।

সিভিল জজ কোর্টের জেলা আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল যেখানে ট্রাস্ট এবং মন্দির পরিচালনা কর্তৃপক্ষকে মামলার পক্ষ করা হয়। শ্রী কৃষ্ণ জন্মস্থান ট্রাস্ট দাবি করে যে, কোনও সমঝোতা চুক্তির পক্ষে নয় তারা এবং জমির মালিকের।

Read in English

mathura
Advertisment