হিন্দি সাহিত্যে নক্ষত্র পতন; কৃষ্ণা সোবতির জীবনাবসান

"কী লিখব, আগে থেকে ভেবে লিখি না আমি। শুধু মাথার মধ্যে কিছু ছবি থাকে, কিছু ভাবনা থাকে, যেগুলো আমি সাদা পাতায় ফুটিয়ে তুলতে চাই"।

"কী লিখব, আগে থেকে ভেবে লিখি না আমি। শুধু মাথার মধ্যে কিছু ছবি থাকে, কিছু ভাবনা থাকে, যেগুলো আমি সাদা পাতায় ফুটিয়ে তুলতে চাই"।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

চলে গেলেন হিন্দি সাহিত্য জগতের প্রখ্যাত লেখিকা কৃষ্ণা সোবতি। শুক্রবার ভোরবেলা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৯৩ বছরের লেখিকা।

Advertisment

১৯২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অধুনা পাকিস্তানের গুজরাট-পাঞ্জাব অঞ্চলে জন্ম কৃষ্ণা সোবতির। লেখিকার সাহিত্য জীবন শুরু হিন্দি কবিতা লেখা দিয়ে। পরে তিনি অসংখ্য গল্প লিখে স্থায়ী জায়গা করে নেন হিন্দি সাহিত্যানুরাগী পাঠককুলের মনে। সাহিত্যে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য নানা সময়ে সম্মানিত হয়েছেন অসংখ্য পুরস্কারে। ১৯৮০ সালে সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান এই কবি-লেখিকা। ২০১৭ তে জ্ঞানপীঠ সম্মানে ভূষিত করা হয় কৃষ্ণা সোবতিকে।

তাঁর আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস 'গুজরাট-পাকিস্তান সে গুজরাট-হিন্দুস্তান' প্রকাশিত হয় ২০১৮ তে। গত বছর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "নিজের সাথে চালানো বাক্যালাপকে ভাষায় প্রকাশ করার নামই সাহিত্য। নিজের আত্মার শব্দটাকেও ধরতে হয় লেখায়। আবার বাইরের এত শব্দ, তাও ধরতে হবে। কী লিখব, আগে থেকে ভেবে লিখি না আমি। শুধু মাথার মধ্যে কিছু ছবি থাকে, কিছু ভাবনা থাকে, যেগুলো আমি সাদা পাতায় ফুটিয়ে তুলতে চাই। তোমার লেখা তোমাকে বিনয়ী করবে। নিজের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন করবে"।

সোবতির লেখা উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলির মধ্যে 'জিন্দেগিনামা', 'দারা সে বিছুরি', 'মিত্র মারাজানি', 'সুরজমুখী অন্ধেরে কে' অন্যতম। 'জিন্দেগিনামা' উপন্যাসের জন্যই সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।

Advertisment

Read the full story in English