কুলভূষণ যাদবের কনস্য়ুলার অ্য়াকসেস নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব হল ভারত। কুলভূষণের কনস্য়ুলার অ্য়াকসেস বাধাহীন ভাবে হয়নি বলে অভিযোগ করেছে নয়া দিল্লি। কুলভূষণ যে চাপের মধ্য়ে রয়েছে, দৃশ্য়ত সেটা বোঝা গিয়েছে। উল্লেখ্য়, এ নিয়ে দ্বিতীয়বার যাদবকে কনস্যুলার অ্য়াকসেস দিল পাকিস্তান।
এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ''ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও যাদব ও কনস্য়ুলার আধিকারিকদের কাছে ছিলেন ভীতি প্রদর্শনকারী পাক আধিকারিকরা। কুলভূষণকে দেখে বোঝা গিয়েছে, উনি চাপে রয়েছেন''।
উল্লেখ্য়, মৃত্য়ুদণ্ডের সাজা পুনর্বিবেচনার জন্য় রিভিউ পিটিশন দায়েরের বদলে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানাতে চান কুলভূষণ, কিছুদিন আগে এমন দাবিই করেছিল পাকিস্তান। চরবৃত্তির অভিযোগে প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনীর অফিসার কুলভূষণকে মৃত্য়ুদণ্ডের সাজা দিয়েছে সে দেশের আদালত। ইসলামাবাদের তরফে জানানো হয়েছিল, মৃত্য়ুদণ্ডের সাজার পুনর্বিবেচনার জন্য় রিভিউ পিটিশন দায়ের করতে অস্বীকার করেছেন কুলভূষণ। পাকিস্তানের এহেন দাবির পাল্টা সরব হয় নয়া দিল্লিও।
আরও পড়ুন: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা সরানোর কাজ জটিল হচ্ছে
এ প্রসঙ্গে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে পাল্টা বলা হয়, ”যাদবকে যেভাবে মৃত্য়ুদণ্ডের সাজার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা বিচারব্য়বস্থার নামে প্রহসন। এখনও যাদব পাকিস্তানের সেনার হেফাজতে রয়েছেন। এটা স্পষ্টত যে, রিভিউ পিটিশন যাতে কুলভূষণ দায়ের না করতে পারেন, সেজন্য় তাঁকে বাধ্য় করা হয়েছে”।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩ মার্চ কুলভূষণকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল পাকিস্তান। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে চরবৃত্তির অভিযোগে কুলভূষণকে মৃত্য়ুদণ্ডের সাজা শোনায় পাকিস্তানের সামরিক আদালত। এরপরই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা জানিয়ে আন্তর্জাতিক ন্য়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত।
Read the full story here in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন