দীর্ঘদিন ধরে কুয়েতে বসবাস করলেও এবার সেখান থেকে উচ্ছেদের মুখে পড়তে হতে পারে প্রায় আট লক্ষ ভারতীয়কে। কুয়েতে বিদেশিদের সংখ্যা কমানোর জন্য এক্সপাট বিলের খসড়ায় কুয়েতের জাতীয় সংসদ অনুমোদন দেওয়ার ফলে আট লক্ষ ভারতীয়র ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে যে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে সে দেশে মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ বেশি ভারতীয়রা থাকতে পারবেন না।
যদিও কুয়েত প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সব মহলেই। করোনা অতিমারী আবহে কুয়েতে বিদেশিদের আধিপত্য কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সে দেশের সরকারি আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, কুয়েত-এ বর্তমান জনসংখ্যা ৪৮ লক্ষের মতো। তার মধ্যে ৩৪ লক্ষই বিদেশি। সেই ৩৪ লক্ষের মধ্যে আবার সাড়ে ১৪ লক্ষ হলেন ভারতীয়। চাকরি কিংবা ব্যবসার কাজে দীর্ঘদিন ধরেই সে দেশে থাকছেন তাঁরা। সেখানকার সরকারের বক্তব্য, বিদেশি দাপটে ক্রমশই কুয়েতে কোনঠাসা হয়ে পড়ছিলেন সে দেশের নাগরিকরাই। ফলে কিছুটা হলেও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ জন্মেছিল। সেই ক্ষোভ প্রশমনে গত মাসেই কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল খালিদ সাবাহ স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, ‘দেশে বিদেশিদের সংখ্যা ৭০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করা হবে।"
কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের পরেই প্রমাদ গুনছিলেন কুয়েতে বসবাসকারী প্রায় ১৪ লক্ষ ভারতীয়। কুয়েতের জাতীয় সংসদে এক্সপাট বিলের যে খসড়া পাশ হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, দেশের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ হবেন ভারতীয় কিংবা ভারতীয় বংশোদ্ভুত। ফলে কুয়েতে বসবাসকারী প্রায় আট লক্ষের মতো ভারতীয়র ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বর্তমানে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন