ভারত রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশ্রি। তিনি চিনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের ইন্টার ন্যাশনাল মিলিটারি কোয়াপোরেশন অফিসের ডিরেক্টার মেজর শি গুওউই-এর সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁকে পূর্ব লাদাখে ভারতের অবস্থান ও পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান মিশ্রি। বেজিং এর ভারতীয় দূতাবাসের তরফে টুইটে এ কথা জানানো হয়েছে।
ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশ্রির সঙ্গেই ছিলেন ডেপুটি চিফ মিশন অ্যাকুইনো ভিমল ও কর্নেল ওসরিস দাস।
লাদাখে চিনা সেনা অনুপ্রবেশের পর তিন মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত। কিন্তু এখনও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এ পাশে অনুপ্রবেশ করে বসে রয়েছে লাল-ফৌজ। সেনা পর্যায়ের একাধিক বৈঠকের পরে প্রত্যাশিত পথে যতটা সমাধান আসা উচিত ছিল তা আসেনি। উল্টে অধিকৃত এলাকা থেকে তারা যে সরে আসতে রাজি নয় সেই বার্তাই বৈঠকে ভারতকে দিয়েছে চিন। এই পরিস্থিতিতে তাই বৈঠক করেই সে দেশের শাসক দলের প্রতিনিধিকে পুরো বিষয়টি জানায় দিল্লি।
এই আবহেই বৃহস্পতিবার বেজিংয়ে বৈঠকটি হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চিনা কমিউনিস্ট পার্টির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিশনের (সেন্ট্রাল কমিটি) ডেপুটি ডিরেক্টর লিউ ঝিয়াংচাও। চিন সেনার অনুপ্রবেশ যে ভারত সহজভাবে নিচ্ছে না তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সে দেশের শাসক দলের প্রতিনিধির কাছে। সেনা প্রত্যাহার না হলে ওই ঘটনা দু’দেশের সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- গালওয়ান সংঘর্ষের দায় চিনের নয়, হামলা করেছিল ভারত, বিস্ফোরক চিনা রাষ্ট্রদূত
চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন ও গণপ্রজাতন্ত্রী চিন প্রকৃপক্ষে দু'টি পৃথক সংস্থা। তবে এর সদস্যরা একই। সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের প্রধান সে দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং। এছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন আরও ছয় সদস্য। পিপলস লিবারেশন আর্মির নিয়ন্ত্রণ থাকে এই সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন হাতেই।
গত অক্টোবরে পাক সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া চিনে গিয়ে সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন ভাইস প্রেসিডেন্টে জু কিলিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ও উপত্যকায় ৩৭০ ধারা রদের বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছিলেন। কিলিয়াং চিনা প্রেসিডেন্ট জিংপিংয়ের খুবই ঘনিষ্ট। ১৯৯০ সাল থেকে জিংপিংয়ের সঙ্গে ফুজিয়ার প্রদেশে কাজ করেছেন কিলিয়াং।
দিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে যে, সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন ভাইস প্রেসিডেন্টে জু কিলিয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতেরও চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতরা। কিলিয়াং ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে যথেষ্ট অবগত বলে মনে করছে ভারত।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন