Advertisment

চিন সীমান্তে বহাল আলোচনা, শক্তি প্রদর্শনেই আস্থা সেনার?

ভারত-চিন সীমান্তে সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত সামরিক শক্তি জোরদার করতে থাকবে ভারত। উচ্চপদস্থ সরকারি সূত্রে এমনটাই জানতে পেরেছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিনা সেনা।

পূর্ব লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় এখনও অব্যাহত অশান্তির রেশ। যদিও সেনাবাহিনী এবং কূটনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে। কিন্তু ভারত-চিন সীমান্তে সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত সামরিক শক্তি জোরদার করতে থাকবে ভারত। উচ্চপদস্থ সরকারি সূত্রে এমনটাই জানতে পেরেছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

Advertisment

সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখের এই সীমান্তে চিন তার স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করেছে এবং অতিরিক্ত সেনাও মোতায়েন করেছে। সেই আবহে সূত্র বলে, "আমাদেরও আমাদের এলাকায় শক্তি প্রদর্শন করতে হবে। তবে তারা আলোচনায় বসতে রাজি হবে। তবে আগ্রাসন নয়।" শীর্ষস্থানীয় এক কর্তা জানিয়েছে সীমান্তের প্রেক্ষাপট বুঝে সেনাবাহিনীর হাতে জরুরীভিত্তিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।সূত্রের কথায়, "যদি কোনও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় সেক্ষেত্রে দিল্লির অনুমতির দিকে না তাকিয়ে প্রয়োজন অনুসারে সেনা মোতায়েন এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করার এমারজেন্সি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর হাতে।"

আরও পড়ুন, নেপালের নয়া ম্যাপ প্রক্রিয়া স্থগিত রেখে বৈঠকে আগ্রহী দিল্লি

গালওয়ান এবং হট স্প্রিং এলাকার ১৪, ১৫ এবং ১৭ নম্বরে চিনা পেট্রোলিং বন্ধ হওয়ার পরই লেফেটেন্যান্ট জেনারেলরা পরবর্তী বৈঠকে বসতে সম্মতি জানাবে। সূত্রের খবর, চিনের তরফে উচ্চপদস্থ সেনারা বৈঠকে বসতে রাজি হলেও ভারতের পক্ষ থেকে এই শর্ত দেওয়া হয়েছে।

যদিও এর আগে সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে জানান যে যুদ্ধ নয়, বরং কথাবার্তা-বৈঠকের মাধ্যমেই ভারত-চিন সীমান্তের সমাধানসূত্র বের করতে চান তিনি। লাদাখে ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সম্প্রতি যে যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছিল তা নিয়ে গত সপ্তাহেই তিন ঘন্টার একটি বৈঠক হয় দুই দেশের সেনা কমান্ডারদের মধ্যে। এখন সীমান্ত সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে রয়েছে এমনটাই জানান সেনাপ্রধান নারাভানে। তিনি বলেন, “আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে চিনের সঙ্গে আমাদের সীমান্তে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা একাধিক আলোচনা শুরু করেছি। লোকাল কমান্ডারদের সঙ্গে নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক বৈঠকও হয়েছে। তবে হ্যাঁ অনেক বৈসাদৃশ্য রয়েছে মত-এ। তবে আমরা আশাবাদী যে কথোপকথনের মাধ্যমে ভারত ও চিন তাঁদের এই পার্থক্যগুলি মিটিয়ে নিতে সক্ষম। এখন সবটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

রবিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং একটি ভার্চুয়াল জনসভায় বলেন, "চিন চাইছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ইস্যু নিয়ে কথাবার্তা বলতে। যদিও আমরা সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরেই আলোচনা জারি রাখব।"

Read the story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

India china
Advertisment