মদ না মেলায় লকডাউনে পাঁচজনের আত্মহত্যা

ক্রমশ বাড়ছে এই প্রবণতা। করোনা মোকাবিলার মাঝে এও এক বাড়তি উদ্বেগ বলেই মনে করছে কেরালা প্রশাসন।

ক্রমশ বাড়ছে এই প্রবণতা। করোনা মোকাবিলার মাঝে এও এক বাড়তি উদ্বেগ বলেই মনে করছে কেরালা প্রশাসন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অত্যাবশ্যকীয় পরিষবা ছাড়া লকডাউনে বন্ধ সবকিছু। আর এতেই বিপাকে নেশাগ্রস্তরা। মদ না মেলায় কেরালার আত্মহত্যা করলেন পাঁচজন। গত শনিবার একই কারণে মল্লপূরাণে দুই ব্যক্তি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। গত পাঁচদিনে নেশা ছাড়ানোর কেন্দ্রগুলিতেও ভিড় বাড়তে শুরু করেছে।

Advertisment

পূর্বে বেশ কয়েকবার রাজ্যে মদ বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ করেছে কেরালা প্রশাসন। তবে, তা সম্পূর্ণ কার্যকর করা যায়নি। লকডাউনের ফলে বন্ধ রাজ্যের সব মদের দোকান। ফলে, বেড়েছে নেশাগ্রস্তদের অপ্রকৃতস্থ আচরণ। তটস্থ তাদের বাড়ির সদস্যরা। করোনা মোকাবিলার মাঝে যা এক বাড়তি উদ্বেগ বলেই মনে করছে কেরালা প্রশাসন।

কেরালার স্বাস্থমন্ত্রী কে কে শৈলজা বলেছেন, 'রাজ্যের বেশ কয়েকটি বড় বড় হাসপাতালকে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। নেশাগ্রস্তদের চিকিৎসা হবে হেল্থ সেন্টার বা প্রাইমারি হেল্থ সেন্টারে। বাড়াবাড়ি হলে সেই রোগীকে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে। হেল্থ সেন্টার বা জেলা হাসপাতালে মনোবিদ রয়েছেন।' কেরালার স্বাস্থ্য দফতর মনে করছে মদ না পেয়ে নেশাগ্রস্তদের আত্মহত্যার প্রবণতা ভভিষ্যতে আরও বাড়বে। যা বিবেচনা করেই প্রতি জেলা হাসপাতালে ২০টি করে শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

Advertisment

আরও পড়ুন:  গাছের মগডালে কোয়ারেন্টাইন শয্যা বাংলায়

রাজ্য নেশামুক্তি প্রকল্পের সিইও- ডি রাজীভ বলেন, 'তিনটি কেন্দ্র থেকে টেলি কনফারেন্সে নেশাগ্রস্তদের কাউন্সিলিং প্রথা চালু করা হয়েছে। এছাড়া সেখানে ভর্তি করার প্রক্রিয়াও জারি রয়েছে। মদ না পেয়ে রাজ্যের বহু মানুষেরই অবস্থা সংকটজনক। যাদের চিকিৎসার প্রয়োজন। শনিবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ১০০ পেরিয়েছিল।' পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলিও সহায়তার আর্জি জানিয়েছে কেরালা প্রশাসন।

টেলি কাউন্সিলিং সেন্টারের এক কাউন্সিলর জানান, 'নেশার জিনিস না পেলে অনেক সময়ই হতাশায় ডুবে যায় এরা। শরীর খারপ হয়ে যায়, ঘাম হতে থাকে। যা থেকে চরম পরিণতিও হওয়া সম্ভব। তাই, অসুবিধা দেখলেই বাড়ির লোকেরা যেন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেন।'

Read the full story in English

coronavirus