Advertisment

মহারাষ্ট্রের একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্ধ মিড ডে মিল, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস প্রাথমিক শিক্ষা সচিবের

এব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
refuse to eat Dalit cook’s food

দলিত রাঁধুনির রান্না করা খাবার খেতে অস্বীকার বেশ কয়েকজন ছাত্রের।

একমাসের বেশি সময় পেরিয়েছে দেশ জুড়ে চালু হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। তার মধ্যেই মিড-ডে মিল চালু করতে পারেনি মহারাষ্ট্রের একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। যা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে পড়ুয়া- অভিভাবকদের মধ্যে। কেন এতদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেই চালু করা গেলনা মিড-ডে মিল, উত্তরে কাঁচামালের সংকটকেই তুলে ধরছেন শিক্ষকরা। যদিও এহেন যুক্তি মানতে নারাজ অভিভাবকরা। ওয়ার্ধা এবং ঔরঙ্গাবাদ জেলার একাধিক স্কুলে ধরা পড়েছে একই ছবি যা নিয়ে ইতিমধ্যে স্কুলগুলিকে নিজ উদ্যোগে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা দফতর সূত্রে। 

Advertisment

মহারাষ্ট্র রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সম্পাদক তথা ওয়ার্ধার জেলা স্কুল পরিদর্শক বিজয় কম্বে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, 'গ্রামাঞ্চলে সম্পূর্ণ কাঁচামাল সরকার সরবরাহ করে, স্কুল কেবল রান্না করা তা পরিবেশন করে। ইতিমধ্যে যে কাঁচামাল (সবজী)সরকার থেকে সরবরাহ করা হয়েছে তা ১৪ মার্চের মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। আমাদের কাছে নতুন করে কাঁচামাল(সবজী) এসে পৌছায় নি, যার জন্য কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে'। 

আরো পড়ুন: আরও কমল সংক্রমণ, করোনা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা কমে ৬ শতাংশে

করোনার কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার কারণে শিশুরা মিড-ডে মিলের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। শিক্ষা দফতর সূত্রে জারী করা নির্দেশ অনুসারে বলা হয়েছিল রাজ্যে ১৫ মার্চ থেকে স্কুলগুলিতে আবার রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হবে। কিন্তু কাঁচামালের জোগানের কারণে একাধিক গ্রামীণ অঞ্চলে সেই ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। কম্বে ‘বলেন 'শহরাঞ্চলে যেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠী দ্বারা মিড-ডে মিলের খাবার রান্না করা এবং সরবরাহ করা হয়ে থাকে সেখানে পরিস্থিতি ভিন্ন’।

রাজ্য প্রধান শিক্ষক সমিতির মুখপাত্র মহেন্দ্র গনপুলে বলেন, 'স্বনির্ভর গোষ্ঠী কাঁচামালের ব্যাপারে সরকারের ওপর নির্ভরশীল নয়, তারা নিজেরাই বাজার থেকে যাবতীয় কাঁচামাল কিনে মিড-ডে মিলের রান্নার কাজ করেন। ফলে সেখানে সমস্যা থাকার কথা নয়। সরকার তাদের মাসিক চুক্তির ভিত্তিতে অর্থ প্রদান করে থাকে। গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক স্কুলগুলি এখনও কাঁচামালের জন্য সরকারের ওপর প্রত্যক্ষ ভাবে নির্ভরশীল তাই সরকার কাঁচামালের যোগান স্বাভাবিক না রাখতে পারলে স্কুলগুলিতে মিড-ডে-মিল পরিষেবা ব্যহত হবে'। এব্যাপারে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন সেই সঙ্গে তিনি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

Read full story in English

Maharashtra
Advertisment